Also read in

নির্বাচন ২০১৯ : ভোটগণনার প্রাক সন্ধ্যায় নৈশ কার্ফুর সময়সীমা বৃদ্ধি করল হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসন

কার্ফুর সময়সীমা পরিবর্তিত হলো হাইলাকান্দি শহরে। আজ রাত ১০ টা থেকে আগামীকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ থাকবে। হাইলাকান্দি জেলা দণ্ডাধীশ কীর্তি জল্লি এক আদেশে ১৯৭৩ এর ভারতীয় দন্ডবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে হাইলাকান্দি সদর থানা এলাকাধীন সমস্ত এলাকায় আট ঘণ্টার এই কার্ফু বলবৎ করেছেন। জেলার সর্বত্র শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

এই আদেশ অনুযায়ী কারফিউ চলাকালীন সময়ে কোন ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া চলাফেরা করতে পারবেন না। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক দিন রাত্রে হাইলাকান্দি সদর থানা এলাকায় এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ করা যেতে পারে, আগে হাইলাকান্দিতে রাত বারোটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ ছিল। প্রথমে সমস্ত জেলায় কারফিউ বলবৎ থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে শুধু হাইলাকান্দি সদর থানা এলাকায় এই আদেশ জারি ছিল। বর্তমানেও শুধু হাইলাকান্দি সদর থানা এলাকায় কার্ফু বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।

তাছাড়া জেলা দণ্ডাধীশের আদেশ অনুসারে পুরো জেলা জুড়ে মিছিল, রেলি, পাঁচ জনের বেশি লোক সমাগম, আতশবাজি ফাটানো, সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র বহন করা, প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখা, লাউড স্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে জেলা উপায়ুক্ত তথা জেলা নির্বাচন অধিকর্তা কীর্তি জল্লি বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, হাইলাকান্দি জেলায় এখন আর কোন হুমকি তথা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নেই, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এবং শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য জেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। তাই কোন ধরনের ভয় কিংবা উদ্বেগের কারণ নেই। সকাল সাতটা থেকে বৃহস্পতিবার ভোট গণনা পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা সহ সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৭ টা পর্যন্ত ফলাফল জানা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, ভোটগণনার পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হবে এবং কাউন্টিং হলে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মহোনিশ মিশ্র জানান, একটি প্রবেশপথ এবং প্রস্থানপথ সহ পুরো কাউন্টিং ক্যাম্পাসে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসন কোন ধরনের ঝুঁকি না নিতে পুরো জেলা জুড়ে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করছে।

ডিআইজি প্রশান্ত কুমার দত্ত বলেন, জেলায় পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়ে গেছে।গত ১০ মে সন্ধ্যা থেকে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক রাধাকিশোর ঝা বলেন, তিনি নির্বাচনী যন্ত্রপাতি বিষয়ে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পুরো গণনার তত্ত্বাবধান করবেন সঠিকভাবে।আগামীকালের ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেই উদ্দেশ্যে সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Comments are closed.