Also read in

নির্বাচনের আগে ৬৯ কোম্পানি সশস্ত্র সিএপিএফ বাহিনী জন্য আবেদন জানালেন কাছাড় এসপি, গড়ে উঠেছে স্পেশাল টাস্কফোর্স

 

মঙ্গলবার রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের নোটিফিকেশন জারি হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন এর আওতায় থাকবে বরাক উপত্যকার সবকটি সমষ্টি এবং নোটিফিকেশন জারি হবে ৫ মার্চ। কাছাড় জেলায় সাতটি সমষ্টি ছাড়াও আলগাপুরের একটি অংশ কাছাড় পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলায় বর্তমানে যে পুলিশ এবং সেনা-জওয়ান রয়েছেন তার সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা মাথায় রেখে পুলিশসুপার বিএল মিনা অতিরিক্ত ৬৯ কোম্পানি সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ) বাহিনী পাঠানোর জন্য উর্দ্ধতন আধিকারিকদের আবেদন করেছেন।

যেহেতু একসঙ্গে দেশের পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে এবং এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্য, ফলে ঠিক কত কোম্পানি সিপিইএফ বাহিনী পাঠানো হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে কাছাড় জেলার আয়তন, ভোটদাতা এবং ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা মাথায় রেখে ৪৫ থেকে ৫০টি কম্পানি অবশ্যই আসবে, এমনটাই আশা করছেন পুলিশ সুপার বিএল মিনা। তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা বানিয়ে জেলায় অবৈধ কার্যকলাপ কঠোর হাতে দমন করতে শুরু করেছি। একটি স্পেশাল টাস্কফোর্স গড়ে তোলা হয়েছে, যারা অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সারা জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। একের পর এক অপরাধমূলক কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে। এবছর কাছাড় জেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৩৪টি, ভোটদাতার সংখ্যা ১২ লক্ষের বেশি। এছাড়া আলগাপুর সমষ্টির ৫৫টি ভোটকেন্দ্র কাছাড় পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ৬৯ কোম্পানি সিপিইএফ বাহিনী পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছি। এসব সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে এবং তারা বিবেচনা করে দেখবেন কতটুকু বাহিনী রয়েছে এবং অসমে কতটুকু বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা আছে। জেলাস্তরে আমরা আবেদন জানিয়ে দিয়েছি এবং আশা করছি ৪৫ থেকে ৫০টি কোম্পানি অন্তত আমাদের দেওয়া হবে। প্রত্যেক কোম্পানিতে ৯৬ জন সশস্ত্র জওয়ান থাকেন, তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেন, ফলে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তারা।”

২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন অসম সহ পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন। পর্যায়ে নির্বাচনের আওতায় রয়েছে বরাক উপত্যকা, নির্বাচনের দিন হচ্ছে ১লা এপ্রিল। ৫ মার্চ নোটিফিকেশন জারি করা হবে এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হচ্ছে ১২ মার্চ। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তারিখ ২ মে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫২টি জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র এসব এলাকায় নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো আগে থেকে অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করবে এবং প্রশাসন তাদের নির্ধারিত দিনে অনুমতি দেবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কোভিড প্রটোকল মেনে চলতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সর্বাধিক ১০টি গাড়ি নিয়ে প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা আসতে পারবেন। প্রত্যেক গাড়ির মাঝামাঝি পর্যাপ্ত দূরত্ব থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শুধুমাত্র প্রার্থী এবং একজন ব্যক্তি জেলাশাসক কার্যালয়ে আসতে পারবেন। প্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ মনিটর করবে প্রশাসন এবং এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন আধিকারিকরা লাগাতার জেলাস্তরে আধিকারিকদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রাখছেন। আগামীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন নতুন পদ্ধতির নেবেন তারা।

Comments are closed.