অজগর সাপকে উদ্ধার করে বন বিভাগের হাতে তুলে দিলেন প্রাক্তন সেনা কর্মী
দুদিন আগে একটি অত্যন্ত বিষাক্ত কিং-কোবরাকে আটক করে অক্ষত অবস্থায় বন বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ধলাইয়ের কিছু মানুষ। এবার একটি অজগর সাপকে এভাবেই উদ্ধার করে বন বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছেন ধলাইয়ের এক প্রাক্তন সেনা কর্মী। সাধারণত সাপ দেখা মাত্রই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাঠি দিয়ে সাপকে পিটিয়ে মারা হয়। তবে সমাজে এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা এর উর্দ্ধে উঠে মানবিকতার পরিচয় দেন, সাহস দেখিয়ে প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করেন এবং সুরক্ষিত অবস্থায় তাদের বনবিভাগের হাতে তুলে দেন।
ধলাই বিধানসভা সমষ্টির অধীনে পুটিখাল পঞ্চায়েতের ১৬-নম্বর বস্তি গ্রামের বাসিন্দা হচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মী স্বপন দাস। মঙ্গলবার সকালে তিনি লক্ষ্য করেন তার বাড়ির পাশে একটি অজগর সাপ রয়েছে। অন্যরা আতঙ্কিত হওয়ার আগেই তিনি সামনে যান এবং দেখেন অত্যন্ত বড় আকারের সাপটি ঠান্ডার জন্য কষ্ট পাচ্ছে। যেহেতু প্রাক্তন সেনাকর্মী, কিভাবে জ্যান্ত সাপকে সুরক্ষিত অবস্থায় ধরতে হয় এটা নিয়ে তার প্রশিক্ষণ রয়েছে। বাড়ির অন্যান্য সদস্য এবং এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে তিনি প্রথমে সাপটিকে আটক করেন। এরপর বন বিভাগের ধলাই রেঞ্জের আধিকারিকদের কাছে খবর পাঠানো হয়। তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
সাপটি প্রায় আট ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় ১৬ কেজি। শীতের সময়ে সাপেরা গরম জায়গা খুঁজে, হয়তো এই অজগরটি সেই খুঁজেই স্বপন দাসের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছিল। তবে মানবিকতার পাশাপাশি অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে তিনি সাপটিকে রক্ষা করেছেন।
কিছুদিন আগে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা মাছের বাজারে এক বিরল কচ্ছপ দেখতে পেয়ে সেটি অক্ষত অবস্থায় কিনে নিয়েছিলেন। পরে বন বিভাগের হাতে তুলে দিয়ে তার প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। একইভাবে সম্প্রতি একটি অত্যন্ত বিষধর কিং-কোবরাকে সাবধানে আটক করে বনবিভাগের হাতে তুলে দিয়েছেন ধলাইয়ের কিছু মানুষ। এবার প্রাক্তন সেনা কর্মী মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
Comments are closed.