Also read in

কোভিড পরিস্থিতি : 'গার্জিয়ান মিনিস্টার' অশোক সিংঘল কথা বললেন কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের, পরামর্শ দিলেন প্রতিকারের

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অভিভাবক মন্ত্রীর তালিকা এবং তাদের পরিচালিত জেলাগুলোর নাম ঘোষণা করেছেন। ঢেকীয়াজুলির বিধায়ক অশোক সিংঘল কোকরাঝাড় ও উদালগুরির সঙ্গে কাছাড় জেলার অভিভাবক মন্ত্রী থাকবেন।

অভিভাবক মন্ত্রীদের প্রত্যেক মাসে কমপক্ষে একবার তাদের নিজের নিজের জেলা পরিদর্শন করতে হবে। তাছাড়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, প্রশাসনিক সংস্কার এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। অভিভাবক মন্ত্রীদের জেলার বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে হবে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

কাছাড়ে অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে। কাছাড়ের অনেকগুলো সেতু সঠিক পন্থায় নির্মিত হয়নি, ফলে সেতুগুলোর ক্ষতি হচ্ছে। মহাসড়কের কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তাছাড়া পৌরসভার কর্মীরা এখনো তাদের বেতন পাননি। একইভাবে কাছাড় পেপার মিলের কর্মীরাও চার বছরের বেশি সময় ধরে বেতন পাননি। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জটিল এবং প্রধান সমস্যা হচ্ছে বর্তমানের কোভিড পরিস্থিতি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে এই ভয়াবহ কোভিডের জন্য ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

“আমি কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে আমরা তৈরি হচ্ছি। কাছাড়ের কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এগুলো তেমন কোন বড় সমস্যা নয় এবং জেলার পরিস্থিতি খুব মারাত্মক নয়। আমি খুব শীঘ্রই কাছাড় সফর করব এবং পরিস্থিতি যাচাই করে ব্যবস্থা নেব” বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলার সময় অশোক সিংহল জানান।

তিনি বলেন, রোগীদের থেকে অন্যদের সংক্রমিত হওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তাই যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আইসোলেশন সেন্টারে রাখতে হবে। যাতে করে তারা যেখানে সেখানে ঘোরাঘুরি করে অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারেন। যখন তারা সংক্রমিত হবেন তখন স্বাস্থ্য বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, তবে আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে যে স্বাস্থ্য বিভাগও যেন অত্যধিক পজিটিভ রোগী নিয়ে চাপের মধ্যে না পড়ে।”

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল ১০ জনের মধ্যে ৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়। “এটা একটা বড় সমস্যা যে বেশিরভাগ মানুষ তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্যজনিত জটিলতার কথা লুকিয়ে রাখছেন। তাদের ডাক্তারের কাছে সব খুলে বলা উচিত এবং রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার আগে অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। আর সেজন্যই আমি পরামর্শ দিয়েছি যে প্রত্যেক জেলা পরিষদ পর্যায়ে আইসোলেশন সেন্টার থাকতে হবে। যাতে করে আমরা রোগীদের ওপর নজর রাখতে পারি” জানালেন অশোক সিংঘল।

Comments are closed.

error: Content is protected !!