বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার কাবুগঞ্জ থেকে, গ্রেফতার দুই
বিমুদ্রাকরণের পরও কালো টাকা তৈরি করতে জাল নোট তৈরির এক চক্র কাজ করে চলেছে কাছাড় জেলায়ও। সুনির্দিষ্ট তথ্যের সূত্র ধরে আজ দুপুর দেড়টার সময় কাস্টমস এবং বিএসএফের তৎপরতায় শিলচর- আইজল রোডের কাবুগঞ্জ তেমাথায় দুই জালনোট পাচারকারীকে ৮ লক্ষ ৪ হাজার টাকার জাল নোট সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করা হল। জাল নোট গুলোর সবই ৫০০ টাকার নোট ছিল বলে জানা গেছে।
ঘটনায় যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় তারা হল, মোতর আলি বরভূঁইয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান বরভূ্ঁইয়া এবং ফয়জুর রহমান। জানা গেছে, এরা দুজনই ধলাই লায়লাপুরের জয় ধনপুরের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত দুজন জানিয়েছে যে, এই জাল নোট গুলো ধলাইর শিঙি এলাকার আফজাল নামের এক ব্যক্তি নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ১৭ই এপ্রিল ওদেরকে দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে শিলচর সোনাই রোডের মিজোরাম হাউসের কোন এক ব্যক্তির কাছে( ওদের কথামত ওই লোকের নাম ওদের জানা নেই) এই টাকাগুলো হস্তান্তর করতে হবে। সেখান থেকে এই জাল নোটগুলো মিজোরামে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
পাচারকারী দুইজনের মধ্যে অন্যতম জিয়াবুর আমাদের প্রতিবেদককে জানায় যে কয়েকদিন আগে আফজল নামের ব্যক্তিটি তাদেরকে জাল নোট বানানোর ব্যাপারে জানায় এবং সে তাদেরকে জাল নোট বানানোর মেশিনও দেখিয়েছিল। জিয়াউর আরো জানায় যে আজ সকালে আফজল ফোন করে বলেছে “ভাতিজা, জিনিসগুলো নিয়ে আয়। ভয় পাস না, শুধু পানিভরা পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে, সেখান থেকে আমি সংগ্রহ করে নেব।” কিন্তু পানিভরা আসার পর সে আবার জানায় নোটগুলো কাবুগঞ্জ নিয়ে যেতে। কারণ হিসেবে জানায় যে সে একটু অসুবিধায় রয়েছে। আফজালের নির্দেশমতো সে কাজটি করতে কাবুগঞ্জ পৌঁছালে কাস্টমস এবং বিএসএফ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মনে করা হচ্ছে, ঘটনাটা মোটেই সাদামাটা নয় এবং এর জড় বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে এক বড় ধরনের চক্র জড়িত রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
Comments are closed.