"কিসের এত তাড়াহুড়ো? প্রশ্ন সোনালী দাস, পম্পা দে'র পরিবারের; এবার প্রার্থনা ন্যায়বিচারের
শিলচরের মেহেরপুরের ভয়াবহ দুর্ঘটনার মাত্র দুদিন পর মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত সোনালী দাস এবং পম্পা দে’র শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যরা আক্ষেপ করে জানালেন, তাদের প্রিয়জনকে ঘিরে শেষ ইচ্ছেটুকু পর্যন্ত তারা পূরণ করতে পারলেন না! সোনালী দাস’র ঠাকুরমা অলকা দাস আজ মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রচার মাধ্যমের। সেখানে তিনি দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করলেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিন যেভাবে ইচ্ছাকৃত তাড়াহুড়ো তৈরি করা হয়েছিল তাতে তিনি মর্মাহত।
“মৃতদেহটি পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল এবং তারা আমাদেরকে ওর চেহারাটি পর্যন্ত সঠিক ভাবে দেখতে দেয়নি। আমাদের হিন্দুদের শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার আগে অনেকগুলো আচার অনুষ্ঠান থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা এর একটিও করতে পারিনি। সে আমার নাতনি ছিল, তাহলে কেন শেষবারের মতো আমি ওর মুখটি দেখতে পাবো না?এটুকু সুযোগও আমাদের দেওয়া হয়নি!”, তিনি আর্তনাদ করলেন।
তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে এই ভিড় কে তৈরি করেছে, উত্তরে তিনি জানালেন, “আমি এই লোকগুলোকে চিনি না। তারা সবাই উঁচুদরের মানুষ, রাজনৈতিক নেতা।” তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমি জানি কোন কিছুই আর আমার সন্তানকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনতে পারবে না, তবে আমি এর সঠিক তদন্ত এবং ন্যায় বিচার চাই।”
পম্পা দে’র ভাই শঙ্কু দে জানালেন, “সেদিন খুব ভিড় ছিল।আমরা সেদিন আমাদের বোনকে শেষবারের মতো স্নান করাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের পলিথিন থেকে লাশটি বের করতে দেয়নি। আমরা আমাদের বোনকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান ডেকেছিলাম, কিন্তু এমএলএ আমিনুল হক, এমপি রাজদীপ রায় সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদেরকে অপেক্ষা করতে দেননি। তারা জোর দেন এম্বুলেন্সে শ্মশান অভিমুখে যাত্রা করার জন্য।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এখন আমরা কোথায় যাব ন্যায় বিচারের জন্য এবং কে আমাদের এই শোচনীয় অবস্থায় সাহায্য করবে?
তাদের কি বক্তব্য ছিল, তার সম্পূর্ণ ভিডিওটি রয়েছে এখানে :
https://www.facebook.com/MySilchar/videos/432446494125454/
Comments are closed.