
মাস্ক না পড়ে কেউ ফাটকবাজারে ঢুকতে পারবেন না, কড়া নির্দেশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের
ফাটকবাজারে ক্রেতা বা বিক্রেতা, কেউই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে ফাটকবাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পুরো ফাটকবাজার ঘুরে প্রত্যেক দোকানের ব্যবসায়ী এবং জিনিসপত্র কিনতে আসা ক্রেতাদের মাস্ক রয়েছে কিনা এটা যাচাই করেন। পাশাপাশি যাদের মাস্ক নেই, তাদের প্রত্যেকের হাতে মাস্ক তুলে দেন। ফাটকবাজারে মোট ১২টি গেট রয়েছে, প্রত্যেক গেটে নির্দেশটি লিখিতভাবে টাঙানো হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রণব পাল চৌধুরী, রঞ্জন রায়, প্রবীর পাল, প্রাণেশ পাল, মিঠু পাল, রানা পাল সহ অন্যান্যরা এদিন দুপুরে পুরো বাজারে একটি অভিযান চালান। প্রত্যেক দোকানে ঘুরে ঘুরে যাদের মাস্ক নেই, তাদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। যাদের সঙ্গে মাস্ক রয়েছে কিন্তু তারা ব্যবহার করছেন না তাদের বুঝিয়ে বলা হয়। এছাড়া অনেকেই মাস্ক লাগিয়েছেন কিন্তু নাক-মুখ ঢাকেননি, তাদের বুঝিয়ে বলা হয়।
প্রণব পাল চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায়, একসময় বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। পরে যখন আবার খোলার অনুমতি পাওয়া যায়, প্রত্যেক ব্যবসায়ী সাবধানতা বজায় রাখবেন বলে আশ্বাস দেন। আমরা প্রত্যেকে নিজের এবং চারপাশের দোকানের উপর নজরদারি রাখার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ ব্যবসায়ীদের শুধুমাত্র ব্যবসা দেখলে হবে না, ক্রেতাদের দিকেও চোখ থাকতে হবে। প্রত্যেক দোকানের সামনে লিখে দেওয়া হয়েছে, মাস্ক না পড়লে জিনিস কিনতে পারবেন না। এরপরও ছোটখাটো অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। তাই আমরা আজ মাস্ক হাতে নিয়ে পুরো বাজার চষে বেরিয়েছি। যারা মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলে গেছেন তাদের মনে করিয়ে দিয়েছি, কোনভাবেই যাতে অসাবধানতা না থাকে। পাশাপাশি আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি, মাস্ক না পড়ে আগামীতে কেউ ফাটকবাজারে প্রবেশ করতে পারবেন। যদি আমাদের কথায় কাজ না হয় আমরা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাইবো।’
Comments are closed.