শহরের প্রাণকেন্দ্রে মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ: হত্যা না আত্মহত্যা!
শিলচরে আবারও এক অঘটন! আবারও অঘটন ঘিরে জনমনে চাঞ্চল্য! এবার ঘটনাটি শহরের কেন্দ্রস্থল শিলং পট্টিতে! সকাল প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জনৈক স্থানীয় ব্যক্তি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দেখতে পান একটি মহিলার মৃতদেহ কেবল্ দিয়ে ঝুলছে। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, ” যখন আমি প্রাতঃভ্রমণে বের হই তখনি দেখতে পাই, পুরনো ‘নাহাজ’র উল্টোদিকে শনি মন্দিরের পাশে একটি মহিলার দেহ কেবল তারের সাহায্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।”
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বিধান ধর খবর পাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। “ যেহেতু মৃতদেহটি কার, তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাই দেহটি মর্গে বাহাত্তর ঘন্টা রাখা হবে এবং বাড়ির লোকজনের খোঁজ করা হবে। যদি ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব না হয় তাহলে জেলা উপায়ুক্ত কিংবা তাঁর অফিস থেকে প্রাপ্ত নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” জানালেন বিধান ধর। ঘটনাটিতে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন ধর। তিনি বলেন” ঘটনাটি আত্মহত্যা, না হত্যার- সে বিষয়ে মন্তব্য করা এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ” আমার কাছে এটি একটি খুন বলেই মনে হয়েছে। আমি প্রথম যখন মৃতদেহটি দেখেছিলাম তখন মহিলার পা মাটিতে ছোঁয়া ছিল। তাছাড়া কেবল তারটিও মৃত দেহের ওজন নেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ শক্ত ছিল না। সামগ্রিকভাবে এটিকে খুন বলেই মনে করা যায়, যাকে আত্মহত্যার নাম দেওয়া হচ্ছে।”
ধরের হিসেব অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ৫ টা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে। “সকাল পাঁচটা পর্যন্ত রাস্তায় টহল চলছিল এবং সে সময় পর্যন্ত এরকম কোন ঘটনা কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের চোখে পড়েনি। পুলিশ ঘটনাটি বিষয়ে সাড়ে পাঁচটা থেকে পৌনে ছটার মধ্যে জানতে পেরেছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে ঘটনাটিি ৫টা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঘটেছে।” বললেন ধর।
যদিও এটি একটি খুন না আত্মহত্যা সে বিষয়ে সুনিশ্চিত হওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কিন্তু এ ক্ষেত্রে ধর্ষণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রশাসনকে ঘটনাটির সমাধান খোঁজার জন্য অনেকগুলি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। একই সঙ্গে শহরের প্রাণকেন্দ্রেে ঘটিত এমন ঘটনা শিলচরবাসীকেও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এভাবে শিলচর শহরের বুকে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে,এই কি সেই কাছাড়, যার সম্পর্কে ইন্দিরা গান্ধী উপমা দিয়েছিলেন ‘শান্তির দ্বীপ
Comments are closed.