উমরাংশুতে মধ্যবয়স্কার লাশ উদ্ধার, জনমনে আতংক
The English version of the story will be uploaded soon
কার্বি আংলং এর অতি দুঃখজনক ঘটনাটির ভয়াবহতার রেশ এখনও কেটে উঠেনি। অথচ আরও একবার মানুষের নৃশংসতার বলি হতে হল নিরপরাধ এক মানসিকভাবে অসুস্থ মহিলাকে।
মঙ্গলবার উমরাংশুর পানিমুরাতে অবস্থিত জলপ্রপাতের পাশ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ৪৫ বছর বয়স্ক এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় জানা গেছে, গত ৮ জুন তুংবং এলাকার ওম কুমারি শর্মা নামের এই মধ্যবয়স্কা মহিলা বাড়ি থেকে বের হবার পর আর ঘরে ফেরেন নি। রহস্য জনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। আরও জানা গেছে, পরে রাতের অন্ধকারে দুইজন গ্রাম প্রতিরক্ষা কর্মী ওই মহিলাকে জোর করে টেনে জলপ্রপাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাপারটি নজরে পড়ে ওই এলাকার একজন দোকানদারের। জানা যায়, পরে ওই দুই গ্রাম প্রতিরক্ষা কর্মী দোকানদারকে এসে পুলিশকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে যায়। এদিকে মানসিক রোগী এই মহিলাকে ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর গোর্খা সংস্থা, সব মহিলা সংস্থা সহ স্থানীয় যাবতীয় সংগঠন এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। সব কটি সংগঠন বুধবার হাফলং লেডিজ ওয়েলফার কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সন্মেলনে মিলিত হয়। ওই সাংবাদিক সন্মেলনে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য হুশিয়ারি দেওয়া হয়। যদি প্রশাসন অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতার না করে তাহলে গোটা হাফলং জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে বলে জানানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা জুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
বলা যায়,কার্বি আংলং এর ঘটনা এখনও মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এখনও মানুষ ভুলতে পারেনি ডকমকায় অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, সোস্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের ভয়ংকর পরিণতি। গ্রামের মানুষের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল গুয়াহাটির যুবক অভিজিৎ নাথ ও নীলোৎপল দাসের। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনা ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতির মত কাজ করেছে। এ ঘটনায় প্রশাসন তথা পুলিশের ভূমিকা যথাযথ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Comments are closed.