সংক্রমিতের সংখ্যার তুলনায় মৃত্যু বাড়ছে, চব্বিশ ঘন্টায় মেডিক্যালের কোভিড ওয়ার্ডে মারা গেলেন চারজন
কাছাড় জেলার কোভিড সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক রয়ে গেছে। চব্বিশ ঘন্টায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে চারজন জন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন; কাছাড় জেলার দুইজন এবং হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার একজন করে।
সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কাছাড় জেলায় রেপিড এন্টিজেন টেস্টে চল্লিশ জন ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, সোয়াব টেস্ট করা হয়েছিল সর্বমোট চার হাজার নয় শত তিরাশি জনের। সংক্রমিতের সংখ্যা আরো কিছুটা বাড়তে পারে কারণ আরটিপিসিআর টেস্টের তথ্য এখনো স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছেন, ৫ জুলাই বিকেল পাঁচটায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১৫ জন রোগী সক্রিয় রয়েছেন। ৫৩ জন রোগী আইসিইউতে রয়েছেন, ৬২ জন রোগী রয়েছেন কোভিড ওয়ার্ডে। ১৩ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন এবং ৭৭ জন রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।
এর আগের ২৪ ঘন্টায় ১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১৯ জন রোগী ছাড়া পেয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় চার জন রোগী মেডিক্যাল কলেজে প্রাণ হারিয়েছেন।
করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকার ৩৫ বছর বয়স্ক এম হালই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গতকাল ৪ জুলাই এবং তিনি গতকাল রাত ছয়টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কাছাড় জেলার শিলচর শহরের দাস কলোনি এলাকার ৬১ বছর বয়স্ক গোপা দাম শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিগত ২৮ জুন এবং তিনি গতকাল ৪ জুলাই রাত ৯ টা ৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কাছাড় জেলার কাজিডহর তৃতীয় খন্ড বাসিন্দা ৭২ বছর বয়স্ক মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরী শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিগত ৩০ জুন এবং তিনি আজ ৫ জুলাই সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাইলাকান্দি জেলার কোলারপার এলাকার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়স্ক হীরেন্দ্র সিংহ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৪ জুলাই। তিনি ৫ জুলাই অর্থাৎ আজ সকাল সাতটায় করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারান ।
Comments are closed.