Also read in

টাকা নিয়ে ঝগড়া, বিয়ারের ভাঙ্গা বোতল দিয়ে এক যুবকের গোপনাঙ্গ কেটে দিল আরেক যুবক

টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে দুই প্রতিবেশির মধ্যে ঝগড়ায় ঘটে অঘটন। ২৭ বছর বয়সের বিশ্বজিৎ দাস নামের যুবকের গোপনাঙ্গ বিয়ারের ভাঙ্গা বোতল দিয়ে কেটে দিয়েছে এলাকার সুদীপ্ত দাস গুপ্ত নামের আরেক যুবক। এই অভিযোগে বিশ্বজিৎ দাসের পরিবারের লোকেরা রাঙ্গিরখাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিশ্বজিৎকে। সেখানে তার অপারেশন হয়েছে এবং ডাক্তাররা জানিয়েছেন প্রাণের ঝুঁকি নেই।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে শিলচরের পঞ্চায়েত রোড এলাকায়। বিশ্বজিৎ দাসের দিদি সীতা দে এবং বৌদি দীপ্তি দাস রাঙ্গিরখাড়ি থানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সুদীপ্ত দাসগুপ্ত নামের এক যুবক বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্বজিৎ দাসের কাছে টাকা চাইছিল। সে আগেও টাকা ধার নিয়েছে এবং সেটা ফিরিয়ে দেয়নি। এদিন রাতে ঘর থেকে ফোন করে বিশ্বজিৎকে ডেকে নিয়ে যায় এবং ঘণ্টাখানেক পরে বিশ্বজিৎ রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে। সে জানায় সুদীপ্ত দাসগুপ্ত তার উপর হামলা করেছে এবং কাচের বোতল দিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছে। বিশ্বজিতের অবস্থা সঙ্কটজনক।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করেছেন, তবে সুদীপ্ত দাসগুপ্তকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সে পলাতক। রাঙ্গিরখাড়ি থানার তরফে এই মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি এবং এলাকায় গেছি, কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশ্বজিৎ দাস নামের যুবকের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখা হয়েছে। পরিবারের দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী তার শরীরের একটা বিশেষ অঙ্গে কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তকে আটক করা হবে।”

এদিকে পঞ্চায়েতের মানুষ অভিযোগ করেছেন, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকায় সন্ধ্যের পর জুয়ার আড্ডা বসে, তার সঙ্গেই চলে গোপনে বিভিন্ন ধরনের নেশাদ্রব্য বিক্রি। লকডাউনে মানুষের ঘরে থাকা উচিত, অথচ সন্ধ্যে থেকে দাসকলোনি এবং পঞ্চায়েত রোড এলাকার আনাচে-কানাচে প্রায়ই দেখা যায় যুবকেরা গোল হয়ে বসে তাস খেলছে। এই তাস খেলার আড়ালেই হয় জুয়া এবং টাকার লেনদেন। এসব ঘিরে এলাকায় ঝগড়া বাঁধে। তারা পুলিশের আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, সন্ধ্যের পর এলাকায় হানা দিতে এবং যেসব দোকানে নেশাদ্রব্য বিক্রি হয় সেগুলো বন্ধ করে দিতে।

বিশ্বজিৎ দাসের মা গতবছর মারা গেছেন এবং কয়েকবছর আগে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। দুই বছর আগে বিশ্বজিতের বিয়ে হয়েছিল। স্ত্রীকে নিয়ে বড় ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গেই তারা পঞ্চায়েত এলাকায় থাকে। দুই ভাই সকালবেলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ বিক্রি করে এবং সন্ধ্যেবেলা এলাকায় সব্জির ঠেলা নিয়ে বসে।

Comments are closed.