Also read in

অবশেষে কাছাড় কাগজ কলে তদন্তে এলো সিবিআই, আজও চলবে তল্লাশি

পাঁচগ্রামের কাছাড় কাগজ কলে সিবিআই’য়ের এক বড়োসড়ো দল তদন্তে এল গতকাল। সিবিআইয়ের শিলংস্থিত অফিস থেকে ডিএসপির নেতৃত্বে এক তদন্তকারী দল কাগজ কলের বিভিন্ন বিভাগে হানা দেয়। এই আগমনের খবর স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষের জানা ছিল না, তাই এই নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

মূলত পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির জন্যই কাছাড় ও নওগাঁও কাগজ কল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং কাগজ কলের আন্দোলনকারী সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই তদন্তের দাবি করে আসছিলেন।

কাগজ কল রিভাইভ‍্যাল অ্যাকশন কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা কমল চক্রবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধিকে জানালেন, “আমরা সব সময়ই তদন্ত করার জন্য বলে আসছি। ১০০৬ টন কাগজ মজুদ ছিল কাছাড় কাগজ কল বন্ধ হওয়ার সময়, সেই কাগজগুলো কেন বিক্রি করা হলো না! তাছাড়া ৫০ হাজার টন বাশ মজুদ ছিল, ছিল পর্যাপ্ত চুন-কয়লা। কাছাড় কাগজ কল বন্ধ হওয়ার পরেও নওগাঁও কাগজ কল কিন্তু অনেক দিন চলেছিল। ইচ্ছে করলেই মজুদ কাঁচামালের সামগ্রীগুলো নওগাঁও কাগজ কলে নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করা যেত। এভাবে প্রায় ৭৭ কোটি টাকা জলে গেল। দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।”

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গতকাল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল একাউন্টস বিভাগের হিসেব-নিকেশ গুলো পরীক্ষা করেছেন; আজ সরেজমিনে বিভিন্ন সামগ্রী এবং কারখানার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।

উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২০শে অক্টোবর থেকে তালা পড়েছে এই পাঁচগ্রামের কাছাড় কাগজ কলে। ইতিমধ্যে কাছাড় কাগজ কলের কর্মচারী পরিবারের ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; জাগীরোড কাগজ কল মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৯জন। কাছাড় কাগজ কলের কর্মীদের প্রায় দুই বৎসরের বেতন বকেয়া রয়েছে। সি বি আই তদন্তের পরে কাগজ কল পুনরুজ্জীবনের সদর্থক কোন প্রয়াস নেওয়া হলে বরাক উপত্যকার একমাত্র ভারিশিল্প কারখানা আবার সজীব হওয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠতে পারে।

Comments are closed.