
হিন্দু দেবীদের নিয়ে কুরুচিকর পোস্ট করায় ফেসবুক পেইজের বিরুদ্ধে এফআইআর শিলচরে
সম্প্রতি হিন্দু ধর্মের পূজনীয় দেবী কালী এবং দেবী সীতাকে নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ একটি পোস্ট করে ‘কুইয়ার ইন্ডিয়ান অ্যাথিস্ট’ নামের একটি ফেসবুক পেজ। সেখানে ব্যঙ্গাত্মকভাবে দেবী সীতা এবং দেবী কালীর মধ্যে সমকামিতার সম্পর্ক দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সঙ্গে আপত্তিকর একটি স্কেচ বানানো হয়েছে। এটি পোস্ট হওয়া মাত্র ফেসবুকে ঝড় ওঠে। শেষমেষ ফেসবুক পেইজের বিরুদ্ধে শিলচরে এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
হিন্দু ছাত্র সংঘের তরফে শুভাশিস চৌধুরী এবং অনিন্দ্য দেব শিলচর সদর থানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তাদের ভাষ্য, “হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে এধরনের মনোবৃত্তি এবং ব্যবহার আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনা। ভারতবর্ষের সংবিধান প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাকস্বাধীনতা দিয়েছে, তবে তার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কেউ বাকস্বাধীনতার নামে হিন্দুধর্মের দেবদেবীকে নিয়ে এধরনের নোংরা মন্তব্য করবে, তাদের কুরুচিকর ছবি বানাবে আর আমরা শুধু বসে বসে দেখবো, এটা হয় না। আমরা কোন ধর্মের পয়গম্বর বা দেবদেবীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করি না, তবে কেন বারবার আমাদের আঘাত করা হয়?
শোনা গেছে ফেসবুক পেইজটির বিরুদ্ধে কলকাতায় ইতিমধ্যে একটি পুলিশি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
‘কুইয়ার ইন্ডিয়ান অ্যাথিস্ট’ নামের ফেসবুক পেজটি কি পোস্ট করেছে, সে নিয়ে সবার মনে জিজ্ঞাসা। তারা দেবী সীতা এবং দেবী কালীকে নিয়ে সমকামী বিয়ের একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করেছে। একটি কাল্পনিক গল্প বানানো হয়েছে, বলা হয়েছে রামায়ণে যে সময় দেবী সীতা শ্রীরামচন্দ্রকে শেষবারের মতো ত্যাগ করলেন, এরপর তিনি বনবাসে গিয়ে দেবী কালীর সঙ্গ পেলেন। এরপর তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে যাকে লেসবিয়ান সম্পর্ক বলে আখ্যা দিয়েছে ফেসবুক পেইজটি।
অতীতে হিন্দু ধর্মের দেবদেবীদের নিয়ে এধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করায় শিলচরে বারবার পুলিশি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্য সেন রামচন্দ্রকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব পুলিশি এজাহার ছাত্ররা দায়ের করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার ফেসবুক পেইজটির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন, এটা দেখার বিষয়।
Comments are closed.