Also read in

মহালয়ার ভোরে পুড়ে ছাই পাণ্ডপ পাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার

মহালয়ার সকালে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো শিলচরবাসীরাও ভোরে উঠে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ নিঃসৃত মায়ের আগমনী বার্তা শোনেন। কিন্তু হসপিটেল রোডের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। সবাই যখন মহালয়ার আনন্দে শামিল হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন হসপিটেল রোডে লেগেছে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখা প্রত্যক্ষ করেন হসপিটেল রোডের বাসিন্দারা। ভোলা শংকর বেকারির দুটি দোকান পরে অবস্থিত শহীদ সুনিল সরকার লেনের কাছে থাকা মেসার্স পাণ্ডপ পালের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায় আগুনে।

The smoke refuses to die at the shop
The sweet shop that has been burnt to ashes

 

 

স্থানীয়রা জেগে ওঠার পরই অগ্নিকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন এবং অবিলম্বে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে খবর দেন। দমকলের একটি গাড়ি কাল বিলম্ব না করে সাইরেন বাজিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। তারাপুরে অবস্থিত শিলচর অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আমাদের জানান, “মিষ্টির দোকান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের উৎপত্তি হয় এবং আগুন যাতে আরো ছড়াতে না পারে সেই প্রচেষ্টায় আমরা সফল হই।” অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর কর্মকর্তারা যদিও কোনো সরকারী রিপোর্ট এখন পর্যন্ত জমা দেয়নি তবে এটা মনে করা হচ্ছে যে একটি শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।

মিষ্টির দোকানটি কিছুদিন আগেই খোলা হয়েছিল এবং বিখ্যাত পাল পরিবারের প্রদীপ পাল এটির পরিচালনা করেন যারা ফাটক বাজার, জানিগঞ্জ ও অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায় আরো অনেক দোকান চালান। অগ্নিকাণ্ডের ফলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির অনুমান নির্ধারণ করতে অস্বীকার করে পাল পরিবার। স্থানীয়দের মতে, তারা এখনও দোকানের বাইরে থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখছেন। “যেহেতু আজ মহালয়া তাই আমরা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যাই এবং হঠাৎ করে আমরা আগুনের বিশাল শিখা দেখতে পাই। তখন আমরা ঘটনাস্থলে দেখতে যাই কি হয়েছে” বলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

Comments are closed.