Also read in

ভারতীয় ফুটসল দলে সুযোগ পেলেন লক্ষীপুরের পাঁচ খেলোয়াড়

খুব কম সময়ের মধ্যে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফুটসল। সাধারণত লাতিন আমেরিকায় এর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তবে সময়ের সঙ্গে ভারতেও ফুটসলের প্রসার ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন শহরে ফুটসল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদেশের মাটিতেও ফুটসল টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ভারতীয় দল। একদিকে যখন আমাদের দেশে ফুটসল গুটি গুটি পায়ে বেড়ে চলেছে, তখন এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কাছাড়। আরও খুলে বললে লক্ষীপুর।

লকডাউন থাকাকালীন লক্ষীপুরে গঠিত হয়েছিল অসম সকার ফুটবল সংস্থা। গত বছর ৫ জুলাই এই সংস্থার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সংস্থার প্রধান কার্যালয় লক্ষ্মীপুর তুলেন গ্রামে। গত ৮ মাসে ভারতীয় ফুটসলের সবচেয়ে বড় সাপ্লাই লাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে এই তুলেন গ্রাম। জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্ট গুলোতে অসম সাম্প্রতিককালে দারুন পারফর্ম করেছে। রাজ্য দলের সিংহভাগ ফুটসল খেলোয়াড়ই কিন্তু এখন কাছাড়ের। আর এবার তো জাতীয় দলেও সুযোগ করে নিলেন লক্ষীপুরের পাঁচ জন খেলোয়াড়।

এ বছর জুনে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বসবে আন্তর্জাতিক ফুটসল চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এতে অংশ নেবে ভারতও। চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ইতিমধ্যেই দল ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় ফুটসল ফেডারেশন। ঘোষিত দশ সদস্যের দলে পাঁচ জনই কাছাড় জেলার লক্ষীপুরের। এরা হলেন নাঙ্গম কানবা, মনিসানা সিংহ, দীপক সিংহ, দয়ামন্ত সিংহ এবং রাহুল দাস।
আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন থেকেই প্র্যাকটিস করছে ভারতীয় দল। বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলেও রাহুলদের চিন্তায় রেখেছে আর্থিক সমস্যা। এ নিয়ে শীঘ্রই অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এর কাছে আর্জি জানানোর কথা ভাবছে অসম সোকার ফুটসল সংস্থা।

গতবছর ডিসেম্বরে রাজস্থানের জয়পুরে বসেছিল ১৩তম জাতীয় ফুটবল চাম্পিয়নশিপ। সেই প্রতিযোগিতায় মোট চব্বিশটি রাজ্য অংশ নিয়েছিল। চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত পারফর্ম করে রানারআপ হয়েছিল অসম। বলতে গেলে রাজ্যের ফুটবলের জন্য সেটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। গোটা দেশের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন রাজ্যের ফুটসল খেলোয়াড়রা। অসম দলে অধিকাংশই ছিলেন কাছাড়ের। জাতীয় স্তরের একটি প্রতিযোগিতায় এমন পারফরম্যান্স করার ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কাছাড়ের খেলোয়াড়রা।

এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে লক্ষীপুরে এক জুনিয়র ফুটসল ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল সংস্থা। সেই ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ৩০০ প্রশিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। সেই ক্যাম্প থেকেই বাছাই করে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দল গঠন করেছিল সংস্থা। গুটি গুটি পায়ে সফর শুরু করে আজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে অসম সকার ফুটবল সংস্থা। তবে এখনো অনেকটাই কাজ বাকি। এর জন্য মূলত দুটি প্রধান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সংস্থাকে। এক, আর্থিক সমস্যা। দুই, পরিকাঠামোগত সমস্যা। তবে এই দুই বাঁধাকে তেমন পাত্তা না দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সংস্থার কর্মকর্তারা। তাদের আশা, সব বাধা টপকে একদিন নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে নেবে সংস্থা।

Comments are closed.