আমানতকারীদের লক্ষ লক্ষ টাকা হাপিস! গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় তালা দিলেন ভুক্তভোগীরা
মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে কাটলীছড়া থানার গ্রামীন বিকাশ ব্যাংকের মনিপুর বাগান শাখায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমানতকারীদের কাছে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট গুলোকে শাখা প্রবন্ধক মনিলাল চৌহান ভূয়া বলায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রাত নটা অবধি গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন।
মনিপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র রায় নিজের পাঁচ বছর আগের জমানো টাকা তুলতে এসে জানতে পারেন, তার নামে স্থায়ী আমানতে কোন টাকা জমা নেই। খবর চাউর হতেই অন্যান্য গ্রাহকরাও শাখায় এসে হাজির হন এবং একই অবস্থার শিকার হন। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার চৌহান বলছেন, গ্রাহকদের হাতে টাকা ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটগুলো ঐ শাখার নয় এবং সবগুলোই ভুয়া সার্টিফিকেট। হাতে লেখা সার্টিফিকেট গুলোতে ব্যাংকের আধিকারিকদের সহি এবং মোহর রয়েছে। নিজের জমানো লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ার আশঙ্কায় গ্রাহকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন, শাখা কার্যালয়ে ঝুলিয়ে দেন তালা। বিকেলে কাটলীছড়া থানার ওসি নির্মল কান্তি বিশ্বাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমানতকারীর সার্টিফিকেট নিয়ে শাখা প্রবন্ধের সঙ্গে কথা বলতে ভেতরে যান। শিলচর থেকে গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা ও ছুটে যান। তারা গ্রাহকদের জানান যে, গুয়াহাটি সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে, ওখান থেকে সিস্টেম ম্যানেজার এসে তদন্ত করে দেখবেন। এই আশ্বাসে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হননি, তারা পুনরায় ব্যাঙ্কে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাশাসক কীর্তি জল্লির নির্দেশে অতিরিক্ত জেলাশাসক রণদা রঞ্জন দাম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরুন পুরকায়স্থ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা গ্রাহকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন কারোর টাকা খোয়া যাবেনা। তবু অনেক রাত অবধি গ্রাহকরা আন্দোলন চালিয়ে গেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, শাখা প্রবন্ধক মনিলাল চৌহানের মঙ্গলবারই বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ছিল।
Comments are closed.