রাঙ্গিরখাড়ি থেকে ধোয়ারবন্দ পর্যন্ত চার লেন রাস্তা, খতিয়ে দেখলেন দিলীপ পালেরা
রাঙ্গিরখাড়ি থেকে ধোয়ারবন্দ রোডের বাইপাস পর্যন্ত রাস্তাকে চার লেন করার প্রস্তাব পূর্তমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছিলেন শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল। সেই অনুযায়ী, পূর্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট রাস্তার হাল খতিয়ে দেখলেন গুয়াহাটি থেকে আসা পূর্ত বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভাগীয় কমিশনার কাম স্পেশাল সেক্রেটারি রাজেশ কেম্প্রাই সহ দুই চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিভূতি শইকীয়া ও কুশল কুমার শইকীয়া পূর্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে সোমবার শিলচরে এসে পৌঁছান; তারপর বিধায়ক দিলীপ পালের সঙ্গে রাঙ্গিরখাড়ি থেকে ধোয়ারবন্দ গিয়ে রাস্তার হাল খতিয়ে দেখেন। তখন সঙ্গে ছিলেন পূর্ত বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারাও। পর্যবেক্ষক দলের কাছে নিজের দাবির কথা তুলে ধরে বিধায়ক দিলীপ পাল বলেন, এই সড়কটি কাছাড় জেলার অন্যতম লাইফ লাইন। এই সড়কে মেডিকেল কলেজ, এনআইটি ও বিশ্ববিদ্যালয়। দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থা, ভাঙাচোরা ফুটপাতের জন্যই বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি। তাই সময়ের দাবি মেনে চার লেন করা হোক এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ককে। বিধায়কের প্রস্তাবে গুরুত্ব দিয়ে বিস্তারিত নোট লিখে রাখেন প্রতিনিধি দল। শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল জানিয়েছেন, রাঙ্গিরখাড়ি থেকে কাঁঠাল পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তা চওড়া রয়েছে বলে মত দিয়েছে পূর্ত দপ্তর। তাই, প্রথম চার কিলোমিটার সড়ক চওড়া করতে কোন সমস্যা হবে না, এর পরের অংশে সরকারি জমি বেদখল মুক্ত করলে চওড়া হবে রাস্তা । তবে সব বিষয় মাথায় রেখে তৈরি করা হবে রিপোর্ট এবং শীঘ্রই তা জমা পড়বে বিভাগীয় মন্ত্রীর কাছে।
উল্লেখ্য, এই রাস্তার বেহাল দশায় তিতিবিরক্ত শিলচরের জনগণ। রাস্তার হাল ফেরাতে আন্দোলনে নামতে হয়েছে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। তাছাড়া লিংক রোড পয়েন্টে রাস্তা রুখে দিয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে স্থানীয় জনগণকে।
এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিকে চার লেন করার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে শিলচরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে, তা বলাই বাহুল্য।
Comments are closed.