Also read in

এলাহাবাদ ব্যাংকের কর্মী পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ১ 

এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ভুয়া কর্মীর পরিচয়ে লোন দেওয়ার নামে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র। হাইলাকান্দি জেলার শত শত অসহায় বেকার যুবকদের লোনের প্রলোভন দিয়ে ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক দলটি লক্ষ লক্ষ টাকা। সোমবার এই প্রতারক দলের এক ছাইকে জনগন আটক করে লালা পুলিশের হাতে সমঝে দিয়েছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া যুবকের নাম রুহুল আলম লস্কর।বাড়ি লালা থানার নিমাইচান্দপুর গ্রামে।প্রতারিত হওয়া যুবকেরা দলে দলে রাতে লালা থানায় এসে ভুয়ো ব্যাংকের কর্মীর নামে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে মামলা করে তাদের নায্য টাকা পাওয়ার দাবি জানান।লালা পুলিশ আটক ছাইকে লকাপে পুড়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিমাইচান্দপুর গ্রামের রুহুল আলম লস্কর আজ থেকে প্রায় দুই মাস আগে দলবল নিয়ে তার এলাকায় গিয়ে এলাহাবাদ ব্যাংকের শিলচর শাখার কর্মী পরিচয় দিয়ে ষোলজনের গ্রুপকে গ্রুপ লোন হিসাবে প্রত্যেক গ্রুপ সদস্যকে এক লক্ষ টাকা পাইয়ে দিতে প্রতিশ্রুতি দেয়।বেকার যুবকেরা তার প্রলোভনে পা দেন। এবং যুবকদের কাছ থেকে অগ্রিম এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা সহ মূল্যবান ভোটার কার্ড,পেন কার্ড,ব্যাংক পাসবুক, ফটো সহ ইত্যাদিতে সহি নিয়ে যায়।এর পর প্রতারিত যুবকেরা খবর নিয়ে জানতে পারেন যে তারা ভুয়ো ব্যাংকের কর্মীর চক্করে পড়ে অর্থ খোয়াতে বসেছেন।এরপর তারা প্রতারকদের সাথে যোগাযোগ করলে তেমন পাত্তা দেয়নি।কিন্তু সম্প্রতি এই প্রতারক চক্রটি তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানায় যে তাদের নামে লোন বরাদ্দ হয়ে গেছে।তাদের আরো অর্থ সহ নথিপত্র দিতে হবে।প্রতারিত যুবকেরা তাদের কথায় সায় দিয়ে আজকের তারিখে চক্রটিকে আসার জন্য অনুরোধ জানায়। সেই মতে আজ দুপুরে প্রতারক দলটি মনাছড়া জে এন বির কাছে অবস্থিত একটি দোকানে ঘা‍ঁটি গেড়ে বসে থাকে।তখন প্রতারিত যুবকেরা আসার পর তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজের উপরে লাগানো ষ্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর দিতে বলেন।তখন প্রতারণার শিকার যুবকেরা এদের কথায় রাজি না হয়ে শুরু করেন কথা বার্তা।

এর মধ্যে তারা কোচিলা সি আর পি এফ ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন। ছুটে আসে সি আর পি এফ দল সহ লালা পুলিশ।তারা গিয়ে হানা দিতে চক্রের বাকী সদস্য পালিয়ে গেলে রুহুল আলম নামের যুবককে আটক করে লালা থানায় নিয়ে আসা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত লালা থানায় আটক রয়েছে।লাল থানার ওসি মনিরুল জানান, আপাতত বিষয়টি তিনি ক্ষতিয়ে দেখছেন।পুরো গ্যা‍ংকে আটকে রেখে তিনি বিষয়টি খোলসা করবেন বলে জানান।লালা থানায় প্রদত্ত এজাহারে সহি করেছেন মনাছড়া গ্রাণ্টের একলাছ উদ্দিন মজুমদার,রিয়াজুল ইসলাম লস্কর,জমির উদ্দিন,নজমুল হুসেন লস্কর প্রমুখ।
পরে এজহারকারি সংবাদ মাধ্যমকে লালা থানায় দাঁড়িয়ে বলেন এই চক্রটি শুধু তাদের ক্ষতি করেনি হাইলাকান্দি জেলার আরো অনেক যুবক,সরকারি কর্মীদেরকে লোন দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।তারা নিরপেক্ষ তদন্ত সহকারে যুবকের শাস্তি সহ তাদের অর্থ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Comments are closed.