Also read in

নতুন স্ক্যাম! এলআইসি পলিসি ডকুমেন্ট নকল করে ৮ লাখ লোন নিয়ে বেপাত্তা যুবক

শিলচরের ব্যবসায়ী মনিশ কুমাত সম্প্রতি একটি ব্যাংকের নোটিশ পান যেখানে বলা হয়েছে তার বাবা ঝাঁওরলাল কুমাতের এলআইসি পলিসি ডকুমেন্ট মর্টগেজ রেখে ৮ লাখ টাকা লোন নেওয়া হয়েছিল, সেটা ফেরানো হচ্ছে না। যেহেতু তার বাবা ঝাঁওরলাল কুমাত সেই ব্যক্তির লোনের গ্যারান্টার, ফলে টাকা তাকেই মিটিয়ে দিতে হবে।

মনিশ কুমাত জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ তাদের কাছে একটি উকিল নোটিশ আসে যেখানে বলা হয়েছে ৮১,৪৪,২৩ টাকা দিতে হবে। তারা সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এলআইসির কার্যালয়ে ফোন করেন। নোটিস যেখান থেকে পাঠানো হয়েছে তারা যোগাযোগ করেন এবং সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। দেখা যায় হুবহু এলআইসি পলিসি বন্ড নকল বানানো হয়েছে এতে স্বাক্ষর পর্যন্ত নকল করা হয়েছে, কিন্তু ফটো এবং অন্যান্য তথ্য আলাদা। ২০১৩ সালে কর্পোরেট ব্যাংক থেকে এই বন্ড দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছেন বাপ্পা দাস নামের এক ব্যক্তি। বাপ্পা দাসের বাড়ি ভকতপুরের চন্দ্রপুর এলাকায়। উকিল নোটিশে বলা হয়েছে ঋণ নেওয়ার পর একবারও যোগাযোগ করেননি বাপ্পা দাস এবং কোনও টাকাও দেননি। তার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ঋণের সাক্ষী ঝাঁওরলাল কুমাতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মনিশ বলেন, “নোটিশ পাওয়ার পর আমরা আশ্চর্য হই, কারণ বাপ্পা দাস নামের কোনও ব্যক্তিকে আমরা চিনিই না। তবে আমার বাবার নামে যে পলিসি করা হয়েছে তার প্রায় হুবহু কপি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। আমরা যখন এলআইসি কার্যালয়ে যাই, তারা বাবার কাগজ বের করে দেখান এবং বলেন, দুই কাগজের মধ্যে কিছুটা অমিল রয়েছে। আমরা সময়মতো পলিসির প্রিমিয়াম জমা করি, কিন্তু গত সাত বছরে ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা হয়নি। তবে বাবার পলিসির সঙ্গে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছিল প্রায় প্রত্যেকটা নকল পলিসির সঙ্গে রয়েছে। এমনকি তার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে এলআইসির ভেতরের কেউ সম্পূর্ণ তথ্য দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে তারা দু’একটা জায়গায় ভুল করেছে এতেই প্রমাণ হয়েছে পুরো ব্যাপারটাই ফ্রড। আইনত আমাদের উপর কোনও দায় আসছে না তবে সচেতন নাগরিক হিসেবে এটা জনসমক্ষে তুলে ধরতে চেয়েছি আমরা। আমার বিশ্বাস এই দুষ্ট চক্র এধরনের ঘটনা আরও করেছে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি এবং তারা বলেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।”

Comments are closed.