Also read in

গৃহিণীদের মুখে হাসি ফোটাতে পূর্ব ঘোষণা মতোই চালু হতে চলেছে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহের কাজ

 

বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে বরাক উপত্যকার তিন জেলায় গ্যাস সরবরাহের কাজ শুরু করা নিয়ে তৎপরতা শুরু হলো গতকাল। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিধায়ক দিলীপ পাল, বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ওএনজিসি,আইওসি,গেইল, আসাম গ‍্যাস এজেন্সি এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগীয় আধিকারিকদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হলো জেলাশাসক এস লক্ষণনের কক্ষে।

প্রথম পর্যায়ে বরাকের তিন জেলায় সর্বমোট ৯৫ হাজার বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে রান্নার গ্যাস। পাইপলাইন বসানো সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।তবে সোনাই এলাকার জনসাধারণ এই সুযোগ প্রথমেই পাচ্ছেন। গ্যাস সরবরাহ করা হবে সোনাবাড়ীঘাটের ধনেহরির ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যান্ট থেকে। তবে গোটা উপত্যকাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। বৈঠকে আগামী এক বছরের মধ্যেই টাউন কমিটির অধীন কিছু এলাকাসহ সোনাবাড়ীঘাট, দক্ষিণ কৃষ্ণপুর, উত্তর কৃষ্ণপুর এবং সাতকরাকান্দি জিপির বিভিন্ন বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে এই রান্নার গ্যাস।

শিলচর শহর এলাকায় গ্যাস সংযোগের জন্য সময়সীমা রাখা হয়েছে দুই বছর।
বৈঠকে গ্যাস লাইন প্রকল্পের পাশাপাশি উপত্যকায় পরিবেশ পরিবেশ দূষণ এড়াতে সিএনজি চালিত যানবাহন রাস্তায় নামানো নিয়েও আলোচনা হয় । সমস্ত বরাক উপত্যকা সিএনজি প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে উপত্যকায় মোট চল্লিশটি সিএনজি স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এলপিজি ও পেট্রোল এর পরিবর্তে সিএনজি ব্যবহার করার জন্য এক যুগান্তকারী বিপ্লব আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের ১৯৪ টি জেলাতে পরিবেশবান্ধব সিএনজি গ্যাস ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তুলতে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ পদক্ষেপ। আসামের পাঁচটি জেলা এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে আর সৌভাগ্যক্রমে এই পাঁচটি জেলার মধ্যে প্রথম দফায়ই বরাক উপত্যকার তিনটি জেলা অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
পেট্রোল ডিজেল এমনকি ঘরবাড়িতে বর্তমানে ব্যবহৃত এলপিজি থেকেও অনেকটা সুলভ তুলনামূলকভাবে পরিবেশ বান্ধব এই সিএনজি, এসব বিবেচনা করে সিএনজি প্রকল্পটি গোটা দেশে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র বরাক উপত্যকায়ই বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।

Comments are closed.