Also read in

ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় শিক্ষক তমোজিত সাহার বিরুদ্ধে মামলা এবিভিপির

শিক্ষক তমোজিত সাহা সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক একাউন্টে একটি ফটো পোস্ট করেছিলেন যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় জুতার মালা ঝুলানো রয়েছে। তিনি লিখেছিলেন ‘হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের প্রভাব।’ পরে অবশ্য ফেসবুকের পোস্টটি ডিলিট করেন তিনি। তবে এর দায়ে এবার তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিলচর সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের শিলচর শাখার সদস্যরা। তাদের বয়ান, “বাংলার শিক্ষক তমোজিত সাহা দেশের প্রধানমন্ত্রীর চরম অপমান করেছেন। এটা কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।” তারা অতিসত্বর তমোজিত সাহার গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের পক্ষে এবং বিপক্ষে বরাক উপত্যকার অনেকেই নিজেদের মতামত রাখেন। এর অনেকটা ফেসবুকের দেওয়ালে ভেসে উঠে। রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক তমোজিত সাহা সম্প্রতি একটি ফটো তার ফেসবুক দেওয়ালে পোস্ট করেছিলেন যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টর এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত সিং চৌটালার ফটোয় জুতার মালা পড়ানো রয়েছে। ক্যাপশনে তিনি হরিয়ানার কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। অনেকে এতে ‘লাফ রিয়েক্ট’ দেন, অর্থাৎ তারা একে হাসির খোরাক হিসেবে গণ্য করেছেন। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে কিছুক্ষণ পরেই পোস্ট ডিলিট হয়ে যায়। তবে তার স্ক্রিনশট অনেকেই নিয়ে রাখেন এবং সেগুলোর প্রসঙ্গ টেনে প্রতিবাদ শুরু হয়। শেষমেষ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য স্নেহাংশু চক্রবর্তী এবং রোহিত চন্দ শিক্ষক তমোজিত সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তমোজিত সাহা যদিও এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “আমি নিজের কাজে ব্যস্ত রয়েছি, মামলা বা অন্যান্য কোনও প্রতিবাদের বিষয়ে খবর পাইনি।”

উল্লেখ্য, গত বছর আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক অনিন্দ্য সেনের বিরুদ্ধে শ্রীরামচন্দ্রকে অপমান করার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। তিনি তখন শিলচরে ছিলেন না, তবে তার বিরুদ্ধে অনেকেই সরব হয়েছিলেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তার পাশে দাঁড়াতে রাজি ছিলনা। শেষমেষ গ্রেফতার হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। তবে এবার আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একইভাবে মামলা হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কোনও বয়ান আসেনি। তবে এনিয়ে অনেকেই আগামীতে সরব হবেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

তবে একজন আইন-বিশেষজ্ঞ বলছেন যে ধারা গুলো তমোজিত সাহার বিরুদ্ধে বসানো হয়েছে তার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

Comments are closed.