Also read in

জিসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কালাইনের ছাত্র

একসময় অফলাইনে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবিতে ছাত্ররা সারা উপত্যকায় প্রতিবাদ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন রাখেনি এবং পরীক্ষা অফলাইনে শুরু হয়। এবার শিলচর গুরুচরণ কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর পজিটিভ হয়েছে স্নাতক স্তরের বিজ্ঞান শাখার এক ছাত্র। রবিবার কালাইনে সরকারি হাসপাতালে রেপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে তার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসার জন্য থাকতে দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনমতো ওষুধপত্র খেতে বলা হয়েছে।

কালাইন সরকারি হাসপাতালের তরফে ডাঃ সুমন ভৌমিক জানিয়েছেন এদিন তাদের হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়ে চারজন ব্যক্তির সংক্রমণ ধরা পড়েছে এর মধ্যে একজন হচ্ছে সেই ছাত্রটি। তাকে আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে তার পরীক্ষা করেছিলেন চিকিৎসাকর্মী আহমেদ নিজাম। তিনি বলেন, বিশেষ কিছু বাহ্যিক উপসর্গ নেই, হালকা জ্বর রয়েছে তাই বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব। তবে তাকে বলে দেওয়া হয়েছে যদি শরীর খারাপ করে তাহলে আমাদের জানাতে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া যেতে পারে।”

কেমিস্ট্রি অনার্সের ছাত্রটি জানিয়েছে, ১২ এপ্রিল তার পরীক্ষা ছিল এবং আগামী পরীক্ষা মে মাসের ৭ তারিখ হবে। আপাতত তাকে ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। সে বলে, “১২ এপ্রিল পরীক্ষা শেষ করে বিকেলে বাড়িতে যাওয়ার পরেই শরীরে অস্বস্তি হচ্ছিল। রাত হতে হতে মাথা ব্যথা এবং জ্বর আসে, টানা দুদিন খুব বেশি জ্বর, কাশি, সর্দি থাকার পর ধীরে ধীরে শরীর সুস্থ হওয়ার দিকে এগোয়। যেহেতু আগামীতে পরীক্ষা রয়েছে, বড়দের সঙ্গে আলোচনা করে ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নিই। ডাক্তাররা পরামর্শ দেন আগে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে এবং এতেই রেজাল্ট পজিটিভ আসে। আমার সঙ্গে এদিন আমার মা গেছিলেন, তিনি পরীক্ষা করিয়েছেন, তার রেজাল্ট নেগেটিভ। এবার বাড়িতেই নিজেকে আলাদা করে রেখেছি এবং চিকিৎসকদের দেওয়া ওষুধ নিচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন সুপ্রবীর দত্ত রায় এই বিষয়ে বলেন, “আমরা প্রত্যেক কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম ছাত্রদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সব ধরনের কোভিড প্রটোকল যাতে মানা হয়। এই প্রথম কোনও ছাত্র পরীক্ষার পর পজিটিভ হয়েছে, ফলে আগামী বিষয়ে সে পরীক্ষা দিতে এলে বিশেষ কিছু নিয়ম রাখা হবে। অতীতে বসন্ত রোগীদের পরীক্ষা যেভাবে নেওয়া হতো, একটা আলাদা রুমে বসিয়ে এবং তার উত্তরপত্র সেনিটাইজ করা হত, এই ক্ষেত্রেও আমরা একই ধরনের ব্যবস্থা নিতে চলেছি। সরকারের গাইডলাইন মেনে পরীক্ষা হচ্ছে এবং এই মুহূর্তে পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়ার বা স্থগিত করার কোনও নির্দেশ আমাদের কাছে নেই, ফলে এমন সিদ্ধান্ত আপাতত নেওয়া হচ্ছে না।”

Comments are closed.