সদরঘাট পুরনো সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন তরুণী, খুঁজে পেলোনা এনডিআরএফ
সোমবার সন্ধ্যেবেলা সদরঘাট পুরনো সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন এক তরুণী। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং কোনোভাবেই তাকে খুঁজে বের করা যায়নি। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, সন্ধ্যার অন্ধকার নামতেই হঠাৎ এক তরুণী সেতু থেকে ঝাঁপ দিলেন। অনেকেই দৌঁড়ে গিয়ে দেখার চেষ্টা করেন তবে ঝাঁপ দেওয়ার পর তাকে দেখাই যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশের কাছে খবর দেন, পুলিশের দল আসে, কিছুক্ষণ পর এনডিআরএফ দল এসে নদীতে খুঁজতে শুরু করে। প্রায় একঘন্টা খোঁজাখুঁজির পরও তারা ব্যর্থ হয়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
সদর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যেবেলা ট্রাফিক আধিকারিকরা তাদের খবরটি জানান। তারা সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগে খবরটি পৌঁছে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এনডিআরএফ’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিরা এসে এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা পুরো এলাকা খুঁজে বেড়ান। কিন্তু মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিনের আলোয় আবার অভিযান চালানো হবে। এদিকে এখনও কেউ এগিয়ে এসে কোনও অভিযোগ দায়ের করেন নি, ফলে মেয়েটির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
অতীতেও সদরঘাট থেকে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার নিদর্শন রয়েছে। গত বছর পরপর দুটি ঘটনা ঘটে, প্রথম ঘটনা দিনের বেলা হয়। এলাকার মানুষ তৎক্ষণাৎ ঝাঁপ দেওয়া কলেজের পড়ুয়াকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে দুই যুবক একসঙ্গে ঝাঁপ দেয় এবং তাদের মৃতদেহ দুদিন পর উদ্ধার হয়।
এলাকার একাংশ মানুষ সেতু সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের নজরদারির উপর প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের প্রশ্ন, অতীতে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা হওয়ার পরও পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নজরদারি রাখা হয় না কেন? এছাড়া সেতুতে বিশেষ বিশেষ জায়গায় সিসিটিভি বসালে এধরনের ঘটনা আটকানো হয়তো সম্ভব, এমনটা মনে করছেন এলাকাবাসী। ঘটনায় আবার শিলচর শহরে সুরক্ষা ব্যবস্থাও প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। অতীতে টিপার’র ধাক্কায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর বলা হয়েছিল শহরের বিশেষ বিশেষ এলাকায় সিসিটিভি বসানো হবে। এর কোনটাই হয়নি, উল্টো জনগণের ওপর পুলিশের শাসানি এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ওপর দোষ চাপানোই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Comments are closed.