Also read in

লিটিল ম্যাগাজিনের সংগ্রাম চলছে, মহাষ্টমীতে উন্মোচিত হলো প্রতাপের পূজো সংখ্যা

“পার্কে বসেছিলেন তৃণময়-মল্লিকা। প্রেমিক জুটিকে চেনেন, জানেন- মিলি আর শাওন। একই আবাসনের বাসিন্দা। মনটাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল এই উচ্ছলসৌন্দর্য। সাতের দশকে তারাও প্রেম করেছিলেন। কিন্তু ওদের মত সাহস ছিলনা। ইচ্ছে গুলোকে দমিয়ে রেখে অপেক্ষায় থেকেছেন সামাজিক স্বীকৃতির। কোথা দিয়ে যে সময় কেটে গেল! প্রেম পত্রেই সযত্নে তোলা থাকল ইচ্ছেরা! …”

এমনই কিছু ভাবনাসমৃদ্ধ গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হল ‘প্রতাপ’ এর পূজা সংখ্যা – ১৪২৬
৬ই অক্টোবর ২০১৯ রবিবার, মহাঅষ্টমীর দিন সন্ধ্যা ৫ ঘটিকায়। উন্মোচন অনুষ্ঠানটি হয় শিলচর পার্করোডস্থিত মধ্যশহর সাংস্কৃতিক সংস্থার প্রেক্ষাগৃহে। নানা ভাবনার বিস্তৃত ক্যানভাস নিয়ে প্রকাশিত এই সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক ছোট কাগজ ‘প্রতাপ’ এর পূজা সংখ্যা – ১৪২৬ । পত্রিকাটি প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট লেখিকা তথা সমাজসেবী অঞ্জু এন্দো, বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি শিবেন্দ্র সিনহা, স্বনামধন্য অক্ষরচাষী কবি চন্দ্রিমা দত্ত, রাধামাধব কলেজের অধ্যক্ষ প্রভাত কুমার সিনহা এবং মালিনীবিলের বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বী কাঙালবাসী দাস একযোগে পত্রিকাটির আবরণ উন্মোচন করেন।

বিশ্বায়ন, মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির প্রভাবে বইপোকা বাঙালি যখন কিছুটা অন্যমনস্ক তখন সারা বছরের ক্লান্তি এবং গ্লানি কাটিয়ে শরতে বাঙালীর রিফ্রেশিং মুড অন করে দেওয়ার জন্য চল্লিশ জন কবির কবিতা, ৩টি করে গল্প ও প্ৰবন্ধ এবং টুকরো কয়েকটি খবরসহ পত্রিকাগোষ্ঠীর নিজস্ব অনুষ্ঠানের ছবি সন্নিবিষ্ট করে মন ছুঁয়ে যাওয়া একটি প্রচ্ছদে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পত্রিকাটি।
ঐদিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেবী অখন্ড। এছাড়াও তরুণ কবি সুরজ কুমার নাথ একটি গান গেয়ে শুনান। নতুন প্রজন্মের নৃত্যশিল্পী সঞ্চারী দাসের সুনিপুণ নৃত্য পরিবেশন উপস্থিত সকলকে বিমোহিত করে অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা এনে দেয়। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি শতদল আচার্য, জয়মনি দাস, রূপরাজ ভট্টাচার্য, মমতা চক্রবর্তী, দিলীপ দাশ, মঞ্জরী হিরামণী রায়, অভিজিৎ পাল, বুল্টি দাস, জয়ন্তী দত্ত, চিরঞ্জিত দেবনাথ, দেবলীনা রায়, রাজু দাস, বীরুরঞ্জন নাথ এবং সানি ভট্টাচার্য।

 

প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও প্রতাপ পত্রিকা গোষ্ঠী যেভাবে কাজ করে চলেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন কাছাড় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সুমিতা দেব, আইনজীবী সুবীর চন্দ্র দাস এবং বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ইমাদ উদ্দিন বুলবুল। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কবি সম্পাদক শৈলেন দাস এবং অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে বিশেষ সহায়তা করেন যুবকর্মী বিমল দাস, শ্রীকান্ত দাস ও ভাস্কর দাস।

Comments are closed.

error: Content is protected !!