শিলচর শহর সংলগ্ন মেহেরপুরে সশস্ত্র ডাকাতি: স্বর্ণালঙ্কার সহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতী
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে বরাক উপত্যকায় সাম্প্রতিক অতীতে চুরি-ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা গুলি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল রাতে মেহেরপুরের গোয়ালা পাড়ায় আরও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। একদল সশস্ত্র ডাকাত লাল বাবু সিনহার বাসায় ঢুকে প্রচুর পরিমাণে টাকা এবং সোনা লুট করেছে।
বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের প্রভাবে কাছাড় জেলায় ডিসেম্বর মাসেও অস্বাভাবিকভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই লালবাবু সিনহার বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। ডাকাতরা বৃষ্টির রাতের সুযোগ নিয়ে ওই বাড়িতে হানা দিয়ে টাকা এবং সোনা লুট করে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে গোয়ালা পাড়ার ওই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ” তারা আমার স্ত্রীর প্রায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ ক্যারেট সোনার গয়না এবং প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে”, লালবাবু সিনহা জানালেন। ডাকাতরা সিনহার বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘরেও লুট করেছে।
“বৃষ্টি হচ্ছিল, তাই সবাই ঘুমিয়ে ছিল। তবে তার মধ্যেও আমরা সবাই কিছুটা অস্বাভাবিক শব্দও পেয়েছিলাম। কিন্তু খুব একটা খেয়াল করিনি। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু লোক বন্দুক, ছুড়ি এবং রড নিয়ে আমার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং তোয়ালে দিয়ে আমাদের মুখ বেঁধে দেয়,” সিনহা আরো জানান। একইভাবে ডাকাতরা ভাড়াটেদের বলেছিল যে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশে খবর দেন লালবাবু সিনহা। ঘুংঘুর থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শিলচরের এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় এভাবে ডাকাতির ঘটনা এলাকার বাসিন্দাদের মনে ভয়ের সঞ্চার করেছে।
এখানে উল্লেখ করা যায়, এ বছরের সেপ্টেম্বরে সোনাইয়ের নতুন বাজার এলাকায় একটি সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় ১০-১২ জনের একদল ডাকাত স্বর্ণালঙ্কারসহ ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এপ্রিলে ভাদুরাইলে একই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি ডাকাতির ঘটনায় কালাইনের বুরুঙ্গা গ্রামে ডাকাতের গুলিতে ১৬ জন আহত হয়েছিল। সেই ঘটনায় একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানের বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছিল।
Comments are closed.