Also read in

৯ এপ্রিল শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিবি, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হতে পারে বিজিএম-র

প্রথমে করোনা তারপর আসাম অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে বিবাদে আদালতে মামলা এবং সবশেষে ভয়াবহ বন্যা, মূলত এই তিনটি কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিজিএম করা যায়নি। যার ফলে বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং নেতৃত্বাধীন কমিটির দু বছরের কার্যকাল গড়িয়ে সাড়ে তিন বছরে চলে গেছে। তবে এবার আর দেরি নয়। বিজিএম এর দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা তথা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আগামী ৯ এপ্রিল গভর্নিং বডির ডাক দিয়েছে শিলচর ডি এস এ। এই বৈঠকেই বি জি এম তথা পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করে নিতে চাইছে সংস্থা।

সম্প্রতি নিজেদের সব সদস্য সংস্থাকে এক চিঠি দিয়ে শিলচর ডি এস এ বয়কটের ডাক দিয়েছে আসাম অলিম্পিক সংস্থা (এওএ)। তবে এবার আর নতুন করে এ ও এর সঙ্গে ঝামেলায় যেতে রাজি নয় শিলচর ডি এস এ। সংস্থার সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এওএ-র সঙ্গে আর নতুন করে ঝামেলা চাইছে না সংস্থা। তিনি বলেন, ‘আমরা আর কোন ঝামেলা চাই না। বিভিন্ন কারণে আমরা নির্দিষ্ট সময় বিজিএম ডাকতে পারেনি। তবে এখন আমরা আর দেরি করতে রাজি নই। আমরা কখনো চাইনি আমাদের দু বছরের কার্যকালের মেয়াদ সাড়ে তিন বছরে যাক। ‌ ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর এসজিএম হয়ে গেলে সে বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই আমরা বিজিএম করে নিতাম। কিন্তু এসজিএম আর হলো কই। কেন হলো না সেটা সবারই জানা। এরপর এও এর বিরুদ্ধে বিবাদ মামলা আদালতে গড়ানোয় কোন সভা সমিতি করা সম্ভব হয়নি।’
শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা সচিব বলেন, ‘এওএ-র বিরুদ্ধে আমাদের এক জিবি সদস্য আদালতে মামলা করেছেন। ফলে মহামান্য আদালতই এ বিষয়ে শেষ কথা বলবে। তবে আমরা বিজিএম নিয়ে আর দেরি করতে রাজি নই। ‌ আগামী রবিবার জিবি ডাকা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সেই বৈঠকেই একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে।’
বিজেন্দ্র এটাও সাফ জানিয়ে দেন, সংস্থার সংবিধান মেনেই ডাকা হবে বিজিএম। তিনি বলেন, ‘সংস্থার ভিতরে ও বাইরে কিছু লোক ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন। ‌ তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ঘোলা জলে মাছ ধরা সম্ভব হবে না। এখানে ব্যক্তি বিশেষ বড় নয়, সংস্থাই শেষ কথা। এখানে যা কিছু হবে, সংবিধান মেনেই হবে।’

Comments are closed.