Also read in

একমাসের মাথায় চতুর্থ গ্রিন করিডোর শিলচরে, দুপুর দুটোয় অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছে গেল গুয়াহাটি

 

একমাসের মাথায় চতুর্থবারের মত শিলচরে গড়ে তোলা হলো গ্রিন করিডোর। বুধবার সকালে মেহেরপুরের জীবন জ্যোতি হাসপাতাল থেকে গুয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত গড়ে তোলা হয় গ্রিন করিডোর। সকাল সাতটায় শিলচর থেকে রওনা হয়ে দুপুর দুটো নাগাদ রোগীকে নিয়ে গুয়াহাটি পৌঁছে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। সেখানে তাকে নন-কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে, তবে অক্সিজেনের মাত্রা এখনও অনেকটাই কম বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে করিমগঞ্জের বাজারিছড়া এলাকার বাসিন্দা ৩৬ বছরের দিপালী দে ৮ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ৬ জুন রেপিড এন্টিজেন টেস্ট পরীক্ষায় তার শরীরে থাকা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার রেজাল্ট নেগেটিভ হয়। কিন্তু অক্সিজেনের মাত্রা বরাবর কম থাকায় তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অক্সিজেন দেওয়ার পরেও তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছিলেন না। তার অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ থেকে ৯২-য়ের মাঝামাঝি ছিল। তবে সোমবার থেকে অক্সিজেনের মাত্রা আরো নেমে যায় এবং একসময় সেটা ৮০-র কাছাকাছি চলে আসে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাকে গুয়াহাটি স্থানান্তর করা হবে। হাসপাতালে সহযোগিতায় পরিবারের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে গ্রিন করিডোর গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সেটা মেনে নিয়ে জেলাশাসক সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশ দেন এবং বুধবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে নিয়ে রওনা হন পরিবারের লোকেরা।

জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেন তারা যেন গ্রিন করিডোর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ সুপার বৈভব চন্দ্রকান্ত নিম্বালকর মেহেরপুরের জীবন জ্যোতি হাসপাতাল থেকে কাছাড়ের সীমানা পর্যন্ত গ্রিন করিডোর গড়ে তোলেন। পাশাপাশি মেঘালয়ের আধিকারিকদের কাছে বার্তা পাঠানো হয় তারা যেন অ্যাম্বুলেন্সটি যাওয়ার সময় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেন। দুপুর দুটো নাগাদ রোগীকে নিয়ে এম্বুলেন্স নিরাপদ ভাবে গুয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছে যায়।

পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকায় তাকে সাধারণ আইসিইউতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বিশেষ নজরদারি রাখছেন এবং তারা আশাবাদী আগামীতে রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

Comments are closed.