Also read in

অসুস্থ জাস্টিস জয় কৃষ্ণা মিশ্রার ছেলে, আগামীকাল শিলচরে গ্রিন করিডোর

গতবছর প্রথমবার কাছাড় জেলায় গ্রিন করিডোর বানানো হয়েছিল এক মরণাপন্ন রোগীকে হাসপাতাল থেকে দ্রুত বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এবার দ্বিতীয়বারের মতো শিলচরে হতে চলেছে গ্রিন করিডোর। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রমথ কুমার মিশ্রার জন্য গড়ে তোলা হবে এটি। তিনি জাস্টিস জয় কৃষ্ণা মিশ্রার ছেলে এবং ধলাই অঞ্চলে ডার্বি চা বাগানে কর্মরত। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ভাইরাস মুক্ত হওয়ার পর পোস্ট-কোভিড কম্প্লিকেশনে ভুগছেন। তাকে শিলচর বিমানবন্দর থেকে কাল ৩ টায় বিশেষ বিমানে নিয়ে যাওয়া হবে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে।

প্রমথ কুমার মিশ্রার কন্যা গতকাল জেলাশাসক কীর্তি জল্লির কাছে এক চিঠি লিখে বিশেষ বিমান অবতরণের জন্য অনুমতি চেয়েছেন। তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। শিলচর বিমানবন্দরে কাল দিল্লি থেকে বিশেষ বিমান অবতরণ করবে এবং প্রমথ কুমার মিশ্রাকে নিয়ে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।

জেলাশাসকের হরফে লেখা হয়েছে,অসুস্থ ব্যক্তির পরিবারের আবেদন মেনে শিলচর শহরে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রিন করিডোর গড়ে তোলা হবে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগীকে নিয়ে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স যখন কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে, সেই সময় রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল এবং জনগণের চলাচল বন্ধ থাকবে। রোগী বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছেন, তবে যখন তাকে সেখান থেকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা রওয়ানা হবেন, তখন প্রত্যেক মুহুর্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ট্র্যাফিক জ্যামের জন্য যাতে বিলম্ব না হয়, তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশের বাহিনী এবং ট্রাফিক বিভাগ এর দায়িত্বে থাকবে। বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের একটি গাড়ি থাকবে।

শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, রোগী বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। তার আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে। শ্বাসজনিত সমস্যা সহ বেশকিছু রোগে ভুগছেন তিনি। তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকেরা উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে তাকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আইসিইউ থেকে বেরোনোর পর প্রতিটি মুহূর্ত তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

পরিবার সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাকে সোমবার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকায় একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার সেই কাজটি করা হচ্ছে। এমনকি মঙ্গলবারও যদি আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূল না থাকে তাহলে পুরো পরিকল্পনা আর একটু পিছিয়ে যেতে পারে।

Comments are closed.