
চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা : তোপখানায় এক নাবালক সহ তিনজন বিভাগীয় জলাধারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত
এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল শিলচর শহর সংলগ্ন তোপখানা এলাকায় আজ, প্রাণ গেল এক নাবালক সহ তিন জনের। এই তিনজন শ্রমিক জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের নির্মীয়মান ১২ ফুট গভীর জলাধারের ভেতরে একে একে প্রবেশ করেছিলেন ডিজেল পাম্প দিয়ে জল বের করার জন্য।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম শ্রমিক জলাধারে প্রবেশ করেন এবং ডিজেল চালিত মোটর পাম্প দিয়ে জল বের করার জন্য সুইচ অন করেন। এই জলের ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাস বের হওয়ার কোনো রাস্তা ছিল না। এই পরিস্থিতিতে বদরপুর জাটিঙ্গামুখ এলাকার বাসিন্দা এই প্রথমজন, সেলিম উদ্দিন লস্কর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েন এবং অজ্ঞান হয়ে যান। ৪০ বর্ষীয় এই শ্রমিককে বাইরে আসতে না দেখে ৪৫ বছরের শ্রমিক নাজিম উদ্দিন মজুমদার সহকর্মীর কি হল তা পর্যবেক্ষণের জন্য জলাধারে প্রবেশ করেন, তিনিও ধোয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিশেষে ১৬ বছরের নাবালক শামসুল আলম মজুমদার ভেতরে প্রবেশ করে একই পরিণতির শিকার হয়।
তিনজনের এই পরিণতিতে স্থানীয়রা উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং কোনভাবে তিনজনকে বের করতে সক্ষম হন। সেলিম উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান আর নাজিম উদ্দিন মজুমদার এবং তার ছেলে শামসুল আলম মজুমদার কে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকেল ৩-৩০ মিনিটে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তোপখানা গাঁও পঞ্চায়েত সভাপতি মিয়া খান ঠিকাদারের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণকে দায়ী করে বলেন, “তারা ভেতরে প্রবেশ করার জন্য একটা সিঁড়ি পর্যন্ত রাখেনি। একেবারে অস্থায়ী ব্যবস্থা করে তারা ওঠানামা করে থাকে আর সেখানে কোন অভিজ্ঞ মোটর পাম্প চালক ও ছিল না। এই তিন জন গরিব লোকের অকাল মৃত্যুতে কে দায়ী হবে !”
শিলচর থানার অফিসার ইনচার্জ দিপুল কুমার বড়ো, সার্কেল অফিসার ঋতুরাজ গোগই এবং একদল নিরাপত্তারক্ষী ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন।
Comments are closed.