অবলা প্রাণীদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামলেন শহরের সমাজ সচেতন যুবকরা
রাস্তাঘাটে চলাচলকারী অভিভাবকহীন অসহায় প্রাণীদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ফিরিয়ে আনতে এবং যারা এদের উপর অত্যাচার করেন তাদের বিরুদ্ধে তীব্র হুংকার প্রদর্শন করে রবিবার সন্ধ্যায় একদল যুবক রাস্তায় নামেন। তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেন শহরের বিভিন্ন সমাজ সচেতন নাগরিকরা। তারা প্রথমে মোমবাতি মিছিল করে এসে রাঙ্গিরখাড়ি পয়েন্টে এক প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন।
শিক্ষিকা শিলা ভট্টাচার্য এই উদ্যোগটি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিভাবকহীন কুকুর-বেড়াল সহ অন্যান্য প্রাণীরা ঘুরতে থাকে, তারা কারও ক্ষতি করেনা। অথচ আমরা দেখতে পাই অনেকেই এদের উপর অত্যাচার করেন। আমরা এসবের বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা তৈরি করতে চাই এবং অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি দিতে চাই। এই নির্বাক প্রাণীগুলো কোনও দোষ করেনা। আমরা তো মানুষ, আমরা যদি তাদের সাহায্য করতে না পারি, অন্তত তাদের কষ্ট দেওয়া উচিত নয়,তাদের উপর অত্যাচার করা উচিত নয়। যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবো এবং রুখে দাঁড়াবো। আমরা শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত হচ্ছিনা, এমন সচেতনতা তৈরি করতে হবে যে এই শহরের প্রত্যেক ব্যক্তি এই প্রানীগুলোর পাশে দাঁড়াবে।
তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে হবে এবং কিছুটা খাবারও যোগাতে হবে। আমাদের অতিরিক্ত খাবারগুলো আমরা কেন ওদের দিয়ে দিইনা? কেন আমরা এগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিই? আমরা চাইলেই পারি আমাদের রোজকার খাবার থেকে অল্প করে ওদের জন্য আলাদা করে কিছু দিতে। এতে বিভিন্ন কুকুর বিড়াল ও অন্য প্রাণীরা একটু শান্তিতে বাঁচবে। আজ একদল তরুণ উদ্যোগ নিয়েছে, আমি তাদের পাশে আছি আমরা আরো এগিয়ে যাব।
সমাজসেবী রূপক পাল বলেন, সম্প্রতি আমরা দেখলাম কলকাতায় দুই নার্স মিলে কিভাবে নিশংসভাবে কুকুর মারলেন। শিলচরেও এমন অনেক ঘটনা হয়েছে। আমরা সবগুলো হয়তো জানতে পারিনা, প্রতিবাদ করতে পারিনা। তবে এই র্যালির মাধ্যমে এক সচেতনতা তৈরি করে দিতে চাই, যে পশুদের প্রতি সহানুভূতি রাখতে হবে। তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে হবে এবং তাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা এই কাজটি আজ শুরু করলেও, এটি শেষ নয়। আগামীতে আরও কাজ করতে হবে।
Comments are closed.