ধর্ষণ কাণ্ড : অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন নাকচ হাইকোর্টে, সংকটে বিধায়ক নিজাম উদ্দিন
হাইলাকান্দি জেলার বহুচর্চিত ধর্ষণ কাণ্ডে বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন গুয়াহাটি উচ্চ আদালত নাকচ করার খবরে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যম ডেকে গৃহবধূ বিধায়কের উপর থেকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করে বিষয়টি মিথ্যা বলে জানালেও বুধবার উচ্চ আদালতে তা মান্যতা পায় নি।
উচ্চ আদালত বিধায়কের অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন নাকচ করে আগামী উনিশ জুলাই কেইস ডায়েরি জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় ইতিপূর্বে আদালতে দেওয়া গৃহবধূর জবানবন্দি গুরুত্বসহকারে নিয়েছে আদালত। যার ফলে উচ্চ আদালত বিধায়কের অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন নাকচ করে। এদিকে বুধবার জানকিবাজারে বিধায়ক নিজাম উদ্দিনের সমর্থকরা অগপ নেতা আফতাব উদ্দিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে তার গ্রেফতারের দাবি জানান। উল্লেখ্য, গৃহবধূ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ডেকে জানিয়েছিলেন যে , বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নির্দোষ। তিনি তার স্বামীকে ফিরে পেতে আলগাপুরের অগপ নেতা আফতাফ উদ্দিনের পরামর্শে বিধায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করেছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী সাহিদ আহমেদ লস্করের সাথে তার মনোমালিন্য চলছিল। যার দরুন তিনি ও তার ভাই আলগাপুরের অগপ নেতা আফতাফ উদ্দিনের দ্বারস্থ হন। তখন আফতাব উদ্দিন তাদেরকে বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার পরামর্শ দিয়ে তিনি নিজেই মরিব ডেকে মামলা লেখান এবং তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। এর আগে তিনিই সংবাদ মাধ্যমকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ান। যদিও এর আগেই হাইলাকান্দি পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে গৃহবধূকে আদালতে পেশ করে এবং ভারতীয় দণ্ড বিধির ১৬৪ নম্বর ধারায় তার বয়ান রেকর্ড করা হয়। যার ফলে হাইপ্রোফাইল ধর্ষণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আলগাপুরের বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশই বাড়ছে। উল্লেখ্য, ভাটিরকুপা তৃতীয় খণ্ডের উনিশ বছরের গৃহবধূ হাইলাকান্দি সদর থানায় বিধায়ক নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বিধায়কের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬/৩৪২/৩৪ ধারায় ৫২৯/১৮ নম্বরে মামলা নথিভুক্ত করে।।
Comments are closed.