Also read in

তারাপুরের পুজো গুলো অবশ্যই দেখবেন, কারণ এতগুলো সুদৃশ্য বিগ বাজেটের পুজো- এতো পাশাপাশি

To read this is English click here

বিগত কয়েক বছর ধরেই তারাপুরের পুজো গুলো প্রচুর সংখ্যক দর্শক-ভক্তের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে তারাপুরের একটি রাস্তায় এতগুলো বড় বড় সুদৃশ্য বিগ বাজেটের পুজো আয়োজন করা হয়ে থাকে। শহরের দিক থেকে ঢুকে প্রথমেই হচ্ছে আনন্দ পরিষদ।

তারাপুর আনন্দ পরিষদের দুর্গাপূজা

প্রদুষণ মুক্ত পরিবেশে এবার ৮৫তম দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে আনন্দ পরিষদ পূজা কমিটি। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপটি সাজানো হচ্ছে তাল পাতার পাখা দিয়ে। মণ্ডপ সজ্জায় রয়েছেন করিমগঞ্জের রাজু বণিক। মায়ের চিন্ময়ী রূপকে মৃন্ময়ী রূপ দিতে রয়েছেন শিলচরেরই কার্তিক শুক্লবৈদ‍্য । পুজো কমিটির সভাপতি হলেন শিবব্রত দত্ত, সম্পাদক দেবব্রত চক্রবর্তী।

মহা পঞ্চমীর সন্ধ্যায় মণ্ডপের উদ্বোধন হওয়ার কথা। উদ্বোধন শেষে থাকবে ছোটখাটো এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।তারাপুর আনন্দ পরিষদের পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যাত্রা পালা। প্রতি বৎসরই পুজোর শেষে ওরা যাত্রাপালার আয়োজন করে থাকেন।

.

তারাপুর সার্বজনীন পূজা কমিটি বা মটর স্ট্যান্ড

রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার ঠিক বাঁ দিকে স্টেশন চত্বরে ৫৫ ফুট উঁচু এই সুদৃশ্য মন্ডপ গড়ে উঠেছে। কাল্পনিক মণ্ডপ সজ্জায় রয়েছে নানা ধরনের মূর্তি। মন্ডপটি দক্ষিণী আদলে তৈরি আবার প্রতিমা হচ্ছে রাজস্থানী ঘরানার। পুজোর বাজেট ১০ লক্ষ। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য পুজো কমিটির তরফ থেকে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে।

৬৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর মণ্ডপের ঈশান জন্মাষ্টমীর দিন দেওয়া হয়েছে। এই পুজো কমিটির সভাপতি হচ্ছেন বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাবুল হোড় এবং কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত বসু রায়। সম্পাদক পদে রয়েছেন গির্বাণ চন্দ্র রায় ,কার্যকরী সম্পাদক পদে নিলয় পাল। প্রতি বৎসরই পরিবেশ বান্ধব পুজো প্যান্ডেল নির্মাণ করে এরা প্রশংসা কুড়িয়ে এসেছেন। বিগত বছরগুলোতে অনেক পুরস্কার ওদের প্রাপ্তির তালিকায় আছে।

শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের পুজো

শিলচর রেলওয়ে সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির পুজো রেলওয়ে চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রেলওয়ে প্লাটফর্মে ঢোকার ঠিক ডান দিকে ৬৮ তম পুজোর মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে।

রেল কর্মীদের পুজোয় এবার নৌকার উপর কাল্পনিক মন্দির তৈরি করছেন কলকাতার হরেকৃষ্ণ দাস।

এবারের বাজেট হচ্ছে ১১ লক্ষ টাকা। মূলত রেল কর্মীদের চাঁদা থেকেই এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। সুদৃশ্য মন্ডপ এবং প্রতিমা প্রতিবছরই দর্শনার্থীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠে

কালীমোহন রোড সার্বজনীন পূজা কমিটি

এক সময় কালীমোহন রোড পূজা কমিটির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেব। এবার এই পূজা কমিটিতে সভানেত্রী হিসেবে আছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং মুখ্য উপদেষ্টা বীথিকা দেব।

এবারের পূজামণ্ডপে বৌদ্ধ মন্দিরের ছাপ থাকলেও এতে ময়ূরপঙ্খী নৌকা সহযোগে নানান কারুকার্যে মণ্ডপ সজ্জা করছেন নবদ্বীপের শিল্পী শুভজিত পাল। কল্পনা প্রসূত এই মণ্ডপ নির্মিত হচ্ছে বাঁশ, কাঠ ও প্লাইউড দিয়ে। শিল্প নিপুণতার ভরপুর নিদর্শন থাকবে মণ্ডপ সজ্জায়, থাকছে ছোট-বড় অনেক নৌকা। প্রতিমা গড়ছেন স্থানীয় শিল্পী স্বপন পাল। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মহাষষ্ঠী থেকে মহানবমী পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

‘তিতলি’র প্রভাবে পিছিয়ে না গেলে, মহা পঞ্চমীতেই মণ্ডপের উদ্বোধন হওয়ার কথা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সুদৃশ্য মণ্ডপ যে দর্শক টানবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

প্রথম পল্লী পূজা কমিটি

তারাপুর ওভারব্রিজের ঠিক পাশে প্রথম পল্লী পূজা কমিটির মণ্ডপসজ্জা চলছে। ওভার ব্রিজের উপর থেকেই স্পষ্ট পুজো দেখা যায়। স্থানাভাবে এখন পুজো কিছুটা ছোট পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে শাস্ত্রীয় বিধি মেনে পূজার অনুষ্ঠান করা হয়। সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে তৈরি দুর্গা প্রতিমা এই পূজার বিশেষ আকর্ষণ। প্রতিমা তৈরি করেছেন নবদ্বীপের শিল্পী সুকদেব পাল।

Comments are closed.

error: Content is protected !!