সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে গৌতম গুপ্ত
প্রভাবশালী ঠিকাদার গৌতম গুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের জন্য রিমান্ডে এনেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার রাস্তার কাজের দুর্নীতির দায়ে তাকে গ্রেফতার করে হাইলাকান্দি পুলিশ। গ্রেফতারের পর শুক্রবার হাইলাকান্দির বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল তাকে। কোর্ট তাকে সাতদিনের জন্য পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে। আপাতত এক সপ্তাহ ধরে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
ধৃত গৌতম গুপ্তের বিরুদ্ধে গত বছর হাইলাকান্দির রামনাথপুর থানায় মামলা করেছিল কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এবং গণতান্ত্রিক যুবমঞ্চ নামের দুটি সংগঠন। মামলা দুটির অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সদস্য এবং এক সময়ের দাপটে নেতা গৌতম রায়ের বিশেষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গৌতম গুপ্তের এই গ্রেফতারের খবরে হাইলাকান্দি জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গোটা দিন এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলেছে। সেইসঙ্গে এই হাইপ্রোফাইল ঠিকাদারকে গ্রেপ্তারের পর থেকে পুলিশও চাপে রয়েছে বলে জানা গেছে। যার ফলে পুলিশ কর্তাদের এদিন নিজেদের মধ্যে বারবার বৈঠক করতে দেখা গেছে । যদিও পুলিশ এনিয়ে মুখে কুলূপ এঁটে বসে আছে।
এটা পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার মন্ত্রী গৌতম রায়ের এককালীন ব্যক্তিগত সচিব গৌতম গুপ্ত
এব্যাপারে বারবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কিছু বলতে চাইছেন না। । তবে যে থানায় মামলা হয়েছিল সেই রামনাথপুর থানার ওসি মুকুট হাজারিকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, পুলিশ দশ দিনের জন্য তাকে রিমান্ডে চেয়েছিল। কিন্তু সাতদিনের জন্য পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। এদিকে অভিযোগকারী সংস্থা কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির সম্পাদক জহির উদ্দিন লস্কর এব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন যে, দক্ষিন হাইলাকান্দির বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে কয়েকটি রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ প্রায় ষাট কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই কেলেংকারিতে গৌতম গুপ্ত ছাড়াও গুয়াহাটির একজন বড়মাপের ঠিয়াদার জড়িত বলে অভিযোগ করে তাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন জহির উদ্দিন লস্কর।
Comments are closed.