মঙ্গলবার ৪০ শয্যার আইসিইউ'র উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২৬ থেকে খুলবে সাধারণ রোগীদের জন্য
শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ওয়ার্ড প্রায় তৈরি। পিএম কেয়ার থেকে ৪০ টি ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়েছে। এগুলো ইনস্টলেশনের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজে এসে ওয়ার্ডটি উদ্বোধন করবেন । এরপর আরও দুইদিন ধরে সেনিটাইজেশন হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সাধারণ রোগীদের জন্য পুরো ওয়ার্ড খুলে দেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালে অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া।
শনিবার রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আইসিইউ ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন অধ্যক্ষ এবং মেডিকেল সুপার।
বাবুল বেজবরুয়া জানান, করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পরিষেবা বন্ধ হয়েছে, সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসিইউগুলো রোগীদের সেবায় লাগানো হয়েছে। এখন প্রায় ১৫টি আই সি ইউ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সংখ্যা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ সহায়তায় হাসপাতালে সম্পুর্ণ একটি আইসিইউ ওয়ার্ড বানানো হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে এসে এটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন। এর ফলে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডকে করোনা মুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া যেতে পারে। তবে এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। যদি একসঙ্গে অনেক বেশি মানুষ আবার আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তবে চিকিৎসা পরিষেবা আগের মতই থাকবে এবং প্রয়োজনে করোনা ওয়ার্ডের পরিসর আরো বৃদ্ধি করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার গুয়াহাটিতে এই কথাটি উল্লেখ করেছেন। হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের উপরে আরও একটি ফ্লোর বানানো হয়েছে, যেখানে আইসিসি ওয়ার্ড ছাড়াও থাকবে বিশেষ কিছু পরিষেবা। যেসব রোগীরা করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন কিন্তু তাদের শারীরিক অবস্থা এমন যে তাদের এখনই ছাড়া যাবে না, এসব রোগীদের বিশেষ পরিষেবা দিতে সেখানে রাখা হবে।
বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, “এসপ্তাহেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিলচর মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করবেন। তার হাত ধরে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ড শুরু হবে। এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকার যেভাবে পরিকাঠামোগত উন্নতি করছে, সেটা ৭০ বছরেও হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে পাঠানো হয়েছে কাজের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য। আমি হাসপাতালের কাজ দেখে অভিভূত। একটি অত্যন্ত উন্নত মানের ওয়ার্ড গড়ে উঠছে যেখানে আগামীতে রোগীরা অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। অধ্যক্ষ বলছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ রোগের জন্য এই ওয়ার্ড খুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কোভিড। তাই নতুন পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের আগে রাখা হবে। তবে সাধারণ চিকিৎসার পরিষেবাও যাতে একই ভাবে এগিয়ে চলে এদিকে আমাদের নজর রয়েছে।”
সম্প্রতি সাংসদ রাজদীপ রায় ও আইসিইউ ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। পিএম কেয়ার থেকে যে ভেন্টিলেটরগুলো পাঠানো হয়েছে সেগুলো দেখেন তিনি। শুক্রবার গুয়াহাটিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। এই দুঃসময়ে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ড উপত্যকার চিকিৎসা পরিষেবার কাছে একটি বিশেষ সম্পদ হয়ে থাকবে।
Comments are closed.