Also read in

করোনা মোকাবিলায় শিলচরে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, এসএমসিএইচ হচ্ছে কভিড ১৯ হাসপাতাল

বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টিকারী কভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আজ অসম সরকারের স্বাস্থ্য, অর্থ, পূর্ত এবং শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। মন্ত্রী শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপারেনটেনডেন্ট ডক্টর বাবুল বেজবরুয়ার সঙ্গে মিলিত হন। সাংসদ রাজদীপ রায়, বন, পরিবেশ, মৎস্য ও আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, ডেপুটি স্পিকার এবং সোনাইয়ের বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর, কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত বর্ণালী শর্মা এবং মন্ত্রকের ও মেডিক্যাল কলেজের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা তখন উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান যে কাছাড়ে মেডিক্যাল স্টাফদের মাস্ক সহ ব্যক্তিগত সুরক্ষার যাবতীয় সামগ্রী মজুদ রয়েছে। তিনি আরো জানান, দু-তিন দিনের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের চর্মরোগ, মনোরোগ, চক্ষু ও ইএনটি বিভাগ সতীন্দ্রমোহন দেব সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। যাতে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ কভিড ১৯ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা যায়।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে এসএমসিএইচ এর এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং চূড়ান্ত বর্ষের নার্সিং ছাত্রীদের ট্রেনিং দেওয়া হবে যাতে করে তারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের শুশ্রূষা করতে পারেন। যদি কোন ডাক্তার কোন রোগীকে সাতদিনের জন্য চিকিৎসা করেন, তবে তাকে আরও ১৪ দিন বিশ্রাম নিতে হবে। কাজেই এই অঞ্চলে মহামারী মোকাবিলায় আরো বেশি সংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদার মেডিক্যাল স্টাফ এর প্রয়োজন।

শর্মা উল্লেখ করেন যে ইতিমধ্যেই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কোভিড ১৯ স্ক্রিনিং ও টেস্টের জন্য আইসিএমআর দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।”এখানে স্থানীয়ভাবে স্ক্রিনিং করা যেতে পারে এবং এখন পর্যন্ত আমরা একুশটি নমুনা পরীক্ষা করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো পজিটিভ কেস পাইনি। আজ আরও কয়েকটি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি যে আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে বজায় রেখে চলতে পারি তবে অবশ্যই আমরা নিরাপদে থাকবো” উল্লেখ করেন শর্মা।

মনিপুর এবং মিজোরামের দুই পসিটিভ কেস এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,”উভয় ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের হিস্ট্রি রয়েছে। কিন্তু এরপর আর কোনো সংক্রমণ হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত নেই।যারাই এই দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের সবাইকে আলাদা করে রাখা হয়েছে”, শর্মা উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান যে কোন পরিস্থিতিতেই রাজ্যের কোন অংশে সামাজিক সমাবেশ কিংবা জমায়েত মেনে নেওয়া হবে না।”আজ অসংখ্য মানুষ শিলচরের পাইকারি বাজারে একসাথে জড়ো হয়েছেন। এটা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রত্যেক এলাকায় মুদির দোকান খোলা রয়েছে এবং স্থানীয় জনগণের তাদের নিজস্ব এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা উচিত।হকাররা মাছ, শাক, সব্জি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে প্রতিটি গলিতে গলিতে যাচ্ছেন। গ্রাহকরা সেই হকারদের কাছ থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারেন” শর্মা যোগ করেন।

Comments are closed.