মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অন্নপূর্ণা ঘাটে নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শন করলেন; আগামী জুলাইয়ের ভিতর কাজ শেষ হবে
নির্মীয়মান কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে কাছাড় জেলার বেশ বদনাম রয়েছে। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্যই কাছাড়ের এমন কুখ্যাতি রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা সমস্যাগুলো সমাধানের দায়িত্ব শুধু সরকারি আমলাদের উপর ছেড়ে দেন এবং প্রক্রিয়াগুলি বিলম্বিত হতে থাকে।
কাছাড়ের তিনটি সেতু আছে, যা সম্পূর্ণ প্রস্তুত কিন্তু ব্যবহারযোগ্য হচ্ছে না কারণ এপ্রোচ রাস্তা তৈরি করা হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরে পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই পরিস্থিতি পাল্টাতে চান।
গতকাল, দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরির ফাঁকে তিনি অন্নপূর্ণা ঘাটে গিয়ে বরাক নদীর উপরে দুধপাতিলের সাথে সংযোগকারী নির্মীয়মান আরসিসি সেতুর কাজ পরিদর্শন করেন। বর্তমানে হাজার হাজার লোক ফেরি দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে যা মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় অত্যন্ত ‘ঝুঁকিপূর্ণ’।
“আমি কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছি এবং আমার অনুমান ২০২২ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নির্মাণ শেষ করতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং আমি জেলা প্রশাসকের সাথে ও কথা বলেছি। ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ছিল যার কারণে আমাদের বিলম্বের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য তহবিল ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে এবং তাই সমস্যাগুলি শীঘ্রই সমাধান করা উচিত,” অন্নপূর্ণা ঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন।
তিনি একটি সমন্বিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ইন্টিগ্রেটেড ডিসি অফিস) নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবিত জমির একটি প্লট জরিপ করতে কাঠাল রোডে গিয়েছিলেন। “হ্যাঁ, আমি কিছু জমি দেখেছি। আমরা শহরটি বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি এবং তাই, আমরা একটি ভাল জায়গায় সমন্বিত ডিসির কার্যালয় নির্মাণ করব,” কোন প্লট চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা তা প্রকাশ না করেই মুখ্যমন্ত্রী জানান।
গতকাল প্রায় সারাদিন ধরে তিনি দুর্গাপূজার ‘প্যান্ডেল হপিং’ চালিয়ে যান। তিনি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের বাসভবনও পরিদর্শন করেন যেখানে প্রতিবছর দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়।
Comments are closed.