সিপাহি বিদ্রোহের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি মালেগড়ে, জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার দাবি
সিপাহি বিদ্রোহের পটভূমি লাতুর ঐতিহাসিক মালেগড় টিলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় শুক্রবার সকালে । জেলা প্রশাসন, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ০৭ নং বাহিনী এবং বলিষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাটকাই ট্রেকার্সের যৌথ উদ্যেগে পালন করা হয় শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান।
কোভিড নিয়মাবলী মেনে অন্যান্য বছরের মতো অনাড়ম্বর আয়োজন না থাকলেও ১৮ ডিসেম্বর সকাল দশটায় সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত ২৬ জন বীর শহিদদেরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় । বেলা ১০ টায় ২৬ বীর শহিদদের স্মৃতি সৌধতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন জেলাশাসক আনবামুথান এপি, পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার ঝা, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ০৭ নং ব্যাটালিয়ন ভারপ্রাপ্ত কমাডেন্ট মনীশ কুমার, ডেপুটি কমাডেন্ট অখিল চন্দ্র মন্ডল, বঘুরাজ সিং, এসিটেন্ট কমাডেন্ট রাজকুমার মিনা, মনোজ কিলানিয়া, মনোজ কুমার, পবন কুমার, জেলা তথ্য এবং জনসংযোগ আধিকারিক সাজাদ্দুল হক চৌধুরী।
পাটকাই ট্রেকার্সের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন মুখ্য আহ্বায়ক সৈয়দ মুজিব আহমেদ, সাংঘঠনিক সম্পাদক সুদীপ দাস। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ০৭ নং বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় । শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় সর্ব ধর্ম প্রার্থনা সভার ।
সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত স্মারক স্থলকে জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয় পাটকাই ট্রেকার্সের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের ক্ষোভ যখন গোটা দেশ জুড়ে জ্বলে উঠে তখন চট্রগ্রাম কোষাগার লুন্ঠন করে মালেগড় টিলায় আশ্রয় নেয় দেশীয় সিপাহীরা এবং ১৮৫৭ সালের ১৮ই ডিসেম্ভর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে ৩৪ নেটিভ ইনফ্রেনটি বাহিনীর যুদ্ধ সংঘটিত হলে মালেগড় টিলায় শহিদ হন ২৬ জন দেশীয় সিপাহী । সঙ্গে নিহত হন মেজর পদবীর ব্রিটিশ আধিকারিকরা । সেই ১৮ ডিসেম্বরকে স্মরণ করে বিগত দশ বছর আগে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত পাটকাই ট্রেকার্স নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । এর পর থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ায় করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন । প্রত্যেক বছরের মতো সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবছরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
Comments are closed.