কচুরতলের সীমা বিবাদের নিষ্পত্তি হলো না; অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে দেবার কথা বললেন গৃহ সচিব
হাইলাকান্দি জেলার কচুরতলে সৃষ্টি হওয়া সীমা বিবাদ সমস্যার সমাধান আজও বের হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আজ কচুরতলে সীমা বিবাদ নিরসনের লক্ষ্যে দুই রাজ্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহসচিব সত্যেন্দ্র গার্গের সঙ্গে আসাম সরকারের গৃহ সচিব এল.এস সাংসন, মিজোরাম সরকারের গৃহ সচিব লালবেক জামা, সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে নিরজ গার্গ,আসামের ডি.জি.পি আর.এম সিং, হাইলাকান্দির ডিসি আদিল খান, এসপি মনীষ মিশ্র, কলাশিবের ডিসি লালগুর লিয়ানা, এসপি অভিষেক যাদব এবং দুই রাজ্যের বন আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ দুই ঘন্টা ধরে চলা এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কচুরতল অঞ্চলটি একটি ইনারলাইন রিজার্ভ ফরেস্ট এবং এইখানে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এই অবৈধ নির্মাণকে চিহ্নিত করবে কলাশিব, হাইলাকান্দি এবং কাছাড় জেলার প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি কমিটি। কমিটির মধ্যে থাকবে পুলিশ, বনবিভাগ এবং জনগণের প্রতিনিধি যারা এই অবৈধ নির্মাণকে সার্ভের মাধ্যমে চিহ্নিত করবেন। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে আমাদেরকে জানান সত্যেন্দ্র গার্গ।
উল্লেখযোগ্য যে কিছুদিন আগে একটি মিজো সংগঠন কচুরতল এলাকায় অপেক্ষাগার নির্মাণ করায় সীমান্তে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। আসাম পুলিশ এই অপেক্ষাগারকে ভেঙে দিলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তাই আজকের এই বৈঠক নিয়ে দুই রাজ্যের জনগণের পাখির চোখ ছিল, যেহেতু আসাম সরকার দাবি করে আসছিল যে কচুরতল তাদের অংশ এবং মিজোরাম সরকার ঠিক উল্টো দাবিটি করছিল।আজকের এই সিদ্ধান্তে মিজো সংঘঠনগুলি এইখানে আর কোনো নির্মাণকার্য করতে পারবে না। দুই রাজ্যের পুলিশকেও এখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেষমেশ কচুরতলের সীমা বিবাদ নিয়ে প্রশাসন আজ কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি।
Comments are closed.