Also read in

শিলচর ডি এস এর মুকুটে আরো একটা পালক, ২৭ আগস্ট উদ্বোধন হচ্ছে আধুনিক প্লেয়ার্স হোস্টেলের, আসছেন এসিএ সচিব দেবজিত শইকীয়া

 বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং নেতৃত্বাধীন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিকাঠাময় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ছোঁয়া লেগেছে আধুনিকতার। ‌ সেই ধারা অব্যাহত রেখে আরও একটি মাইলস্টোন অর্জন করতে যাচ্ছে টিম বিজেন্দ্র। সেইসঙ্গে শিলচর ডি এস এর মুকুটে জুড়ছে আরও একটি পালক। ২৭ আগস্ট উদ্বোধন হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত প্লেয়ার্স হোস্টেলের।

প্রয়াত সুনীল কান্তি ভট্টাচার্যর স্মৃতিতে উনার ছেলে তথা সংস্থার অন্যতম সহ-সভাপতি ড: সিদ্ধার্থ শংকর ভট্টাচার্য এবং প্রয়াত গৌরীশঙ্কর সারদার স্মৃতিতে উনার ছেলে উমেশ কুমার সারদা এই প্লেয়ার্স হোস্টেল ডোনেট করেছেন। ডি এস এ চত্বর লাগোয়া আশীর্বাদ ভবনে এই প্লেয়ারস হোস্টেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অসম ক্রিকেট সংস্থার সচিব দেবজিত শইকীয়া।

সতীন্দ্রমোহন দেব স্টেডিয়ামের ফুটবল প্যাভিলিয়নের লাগোয়া গ্যালারির নিচেই এই প্লেয়ারস হোস্টেল তৈরি হয়েছে। সংস্থার সচিব বিজেন্দ্র জানান, সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এটা তার চিন্তাধারায় ছিল। ডি এস এতে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা থাকলেও তাতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা রয়েছে। তাই বর্তমান কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় একটা আধুনিক প্লেয়ার্স হোস্টেল তৈরি করার। তবে সংস্থার একার পক্ষে এটা সম্ভব ছিল না। ডি এস এ সচিব বলেন, ‘প্লেয়ার্স হোস্টেলের জন্য আমরা দুজনকে প্রস্তাব দেই। প্রথম প্রস্তাবটা যায় উমেশ কুমার সারদার কাছে। তৈরি হয় এস্টিমেট। খরচ ঠিক হয় ১৫ লক্ষ। উমেশ বাবু হোস্টেল নির্মাণের জন্য যাবতীয় সাজ সরঞ্জাম প্রদান করেন। তার কাছ থেকে আমরা কোনো নগদ অর্থ নেইনি।’ সচিব আরো যোগ করেন, ‘উমেশবাবু এগিয়ে আসার পরও আমরা একটা জায়গায় আটকে গিয়েছিলাম। তখন আমরা দ্বিতীয় প্রস্তাবটা দেই সংস্থার অন্যতম সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ শংকর ভট্টাচার্যকে। তিনি রাজি হয়ে যান।’
দুই স্পনসরের সাহায্যে প্লেয়ার্স হোস্টেল তৈরি হয়ে যাবার পর আরও একটা পরিকল্পনা হাতে নেয় শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই আধুনিক প্লেয়ারস হোস্টেলের পুরোটাকেই এয়ারকন্ডিশন করে তোলা হবে। আর এজন্য যে অতিরিক্ত অর্থের দরকার পড়বে, সেটা বহন করবে সংস্থা নিজেই। সব মিলিয়ে এই হোস্টেল নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। সচিব জানান,এই হোস্টেলে ইলেকট্রনিক জিনিস দিয়ে সাহায্য করেছেন সপ্তজিৎ দে-ও।

ঝা চকচকে এই আধুনিক হোস্টেলে রয়েছে ১৫টি ডাবল ব্যাঙ্কার সিঙ্গল ব্যাড। অর্থাৎ ৩০ জনের থাকার ব্যবস্থা। সঙ্গে রয়েছে আরো ১২টি সিঙ্গল ব্যাড। ভবিষ্যতে কথা মাথায় রেখে হোস্টেলে দুটো সিস্টেম করা হয়েছে। যাতে করে দুদিকে দুটো দল থাকতে পারে। হোস্টেলে বাথরুমের সংখ্যা মোট সাতটি। তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ফুটবল প্যাভিলিয়ন ড্রেসিংরুমের মোট আটটি বাথরুমও। খেলোয়ারদের জিনিসপত্র রাখার জন্য রয়েছে লকারের ব্যবস্থাও।

বিজেন্দ্র জানান, হোস্টেলের উদ্বোধনের পর এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু নিয়ম নীতি ধার্য করা হবে। সংস্থার খেলোয়াড়রা এই হোস্টেলে বিনামূল্যে থাকতে পারবেন। দিতে হবে না কোন খরচ। তবে সংস্থার সদস্য ক্লাব গুলি যদি তাদের খেলোয়াড়দের এই হোস্টেলে রাখতে চায় তাহলে ন্যূনতম একটা খরচ দিতে হবে। আবার বাইরের কোনো ক্লাব বা সংস্থা যদি এই হোস্টেল ব্যবহার করতে চায় তাহলে একটা নির্দিষ্ট খরচ দিতে হবে। এই হোস্টেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় কে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারই তত্ত্বাবধানে থাকবে এই প্লেয়ার্স হোস্টেল।

সবমিলিয়ে এবার অপেক্ষা আধুনিক এই প্লেয়ারস হোস্টেলের উদ্বোধনের।

Comments are closed.

error: Content is protected !!