Also read in

"কখনোই বলিনি ইস্তফা দেব, না বুঝেই প্রচার হয়েছে," বললেন সুস্মিতা; নাম না নিলেও রুমির প্রার্থীত্বে অনিহা

শনিবার সকাল থেকেই জল্পনা-কল্পনা হয়েছে সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছাড়ছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে পর্যন্ত বলা হয়েছে তিনি সোনিয়া গান্ধীর কাছে যাচ্ছেন। মূলত এআইইউডিএফের সঙ্গে আসন বাটোয়ারা নিয়ে গত চারদিন ধরে বৈঠক করলেও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসছে না। তবে উপত্যকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন চাইছে এআইইডিএফ এবং এতে স্থানীয় নেতারা বাধা দিচ্ছেন। আবার দল থেকে বহিষ্কৃত রুমি নাথকে বড়খলায় প্রার্থী করার ব্যাপারে অমত রয়েছে সুস্মিতার। তবে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রুমির নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

এদিন সকালে একসময় রিপুন বরা বরাক উপত্যকায় ৬ টি আসন এআইইউডিএফকে দিতে রাজি হয়েছিলেন, এতেই গন্ডগোল বাঁধে। বরাক উপত্যকার একাংশ নেতা জোর গলায় বলেন, এমনটা হলে তারা ইস্তফা দেবেন এবং তাজ হোটেলে থেকে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে যান। তাদের সামাল দিতে সুস্মিতা বেরিয়ে আসেন এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে পড়েন। একদিকে ইস্তফার স্লোগান চলছে, আর তার মধ্য দিয়ে সুস্মিতা বেরিয়ে আসছেন, এই দৃশ্য দেখে অনেকে মনে করেন সুস্মিতাই ইস্তফার কথা বলে বেরিয়ে আসছেন। শুরু হয় নানান জল্পনা-কল্পনা, শেষমেষ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বরাক বুলেটিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় শনিবার সন্ধ্যেবেলা সুস্মিতা বলেন, “আমি রিপুন বরার কাছে গিয়ে বলেছিলাম যদি বরাকের ১৫ টি আসনের মধ্যে ৬টি এআইইউডিএফকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা বরাকে কংগ্রেস কিভাবে করব? তবে আমি শান্ত ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও বাকিরা এই কথা মেনে নিতে পারছিলেন না এবং কিছুটা উষ্মা দেখা দেয়। সংবাদমাধ্যমের একাংশ আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করেছে। এটা প্রায়ই হয় তবে আমরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি এবং বৈঠক শেষে হয়তো আজ রাতেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে।”

কথা উঠেছিলো সুস্মিতা রুমি নাথকে কংগ্রেস টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করছেন। এই প্রশ্নের উত্তরে সুস্মিতা বলেন, “আমি কারও নাম নিতে চাই না, তবে দুঃসময়ে যারা দলের পাশে থাকতে রাজী হয়না, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া ঠিক হবে বলে মনে করি না। আমরা যারা রাজনীতি করি, দলের তরফে বেতন পাই না, ভালোবেসে কাজ করি। এই ভালোবাসার পেছনে রয়েছে আদর্শের প্রতি টান, ফলে যারা আদর্শ মানেন না তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে অনেকের অনিচ্ছা থাকতেই পারে।”

Comments are closed.