আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রায়ই ধরা পড়ছে আফ্রিকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা, এবার কেনিয়া ও সেনেগালের দম্পতি আটক
সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জ এবং ত্রিপুরার কিছু অংশে প্রায়শই পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন আফ্রিকা থেকে আসা নাগরিক। এদের আটক করার কারণ হচ্ছে কোনও অনুমতি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করছেন তারা। শুক্রবার চুরাইবাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই বিদেশি নাগরিক। বৃহস্পতিবার রাতে অসমের চুরাইবাড়ির নাকা চেকিং চলাকালীন সময়ে আগরতলা থেকে গুয়াহাটিগামী বাসে কেনিয়ার এক মহিলা এবং সেনেগালের এক পুরুষকে আটক করে পুলিশ।
এএস ২৫ সিসি ৮৬৫৮ নম্বরের একটি নৈশ্য বাসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আফ্রিকার দুই নাগরিককে আটক করে চুড়াইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের পুলিশ। আটক দু’জনের মধ্যে এক জন মহিলা ও একজন পুরুষ। জানা গেছে বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলা থেকে গুয়াহাটি অভিমুখে যাত্রা করা নৈশ বাসে রুটিন তল্লাশির সময় কর্তব্যরত পুলিশের নজর পড়ে এই দুই বিদেশি নাগরিকের উপর। আটক করে প্রথমে চুড়াইবাড়ি পরে দু’জনকে বাজারিছড়া থানায় নিয়ে আসা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম ওলাডিপুপো (৪০) এবং অপর জনের নাম রুত রিয়েল এনডিসি (২৫)।
পাসপোর্টে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ওলাডিপুপো হলো সেনেগালের বাসিন্দা আর মহিলা এনডিসি হলেন কেনিয়ার বাসিন্দা। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি ভিসা সহ পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে তারা ভারতে ভ্রমণের কোনও বৈধ ভিসা দেখাতে পারেনি। এছাড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা সিমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে আফ্রিকার এই দুই নাগরিক। এর আগে তারা কুয়েত কাতার ও বাংলাদেশ ভ্রমণ করে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করছে। ভাষার ভিন্নতার জন্য পুরো তথ্য সংগ্রহ করতে সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয় পুলিশের। তবে আটক মহিলা ভাঙা ভাঙা ইংরাজি ভাষায় কথা বলায় প্রাথমিক ভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাজারিছড়া পুলিশ।
করিমগঞ্জের পুলিশসুপার ময়ং কুমার বলেন, “সম্প্রতি করিমগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকায় আফ্রিকার নাগরিকদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। ভারতে প্রবেশ করার অনুমতি ছাড়াই তারা ঢুকে পড়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের এই বিচরণের পেছনে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আমাদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন না, ফলে সন্দেহ বেড়ে যায়। আমরা পুরো ঘটনার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র ভুল করে অনেকেই এভাবে ভারতে ঢুকে পড়েছেন,তবে এর পেছনে অন্য কোনও কারণ থাকতেই পারে। তাই পর্যাপ্ত তদন্ত না করে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারি না।”
Comments are closed.