Also read in

এনআরসিতে বাড়লো দাবি পেশের হার: করিমগঞ্জে ৮৫, কাছাড়ে ৬৩, হাইলাকান্দিতে জমা পরল ৫৯% দাবি ফর্ম

এনআরসিতে খসড়া-ছুটদের নাম তোলার দাবি ফর্ম পূরণের হার বাড়লো বরাক উপত্যকায়। ৫ ডিসেম্বর বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে দাবি ফর্ম পূরণের যে হিসেব এসেছে এনআরসি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে, তাতে দেখা গেছে গোটা অসমে সবচেয়ে বেশি দাবি ফর্ম জমা পড়েছে বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলায়। তথ্য অনুযায়ী করিমগঞ্জে দাবি জমা পড়েছে ৮৫.৮২ শতাংশ; এছাড়া কাছাড় জেলায় এনআরসির ক্লাইম ফর্ম জমা পড়েছে ৬৩.২৮ শতাংশ এবং হাইলাকান্দি জেলায় জমা পড়েছে ৫৯.৭৭ শতাংশ।

এদিকে দেখা গেছে, চূড়ান্ত এনআরসিতে নাম তোলার জন্য এনআরসি সেবা কেন্দ্র গুলোতে জমা পড়া দাবি ফর্মের জেলাভিত্তিক হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে করিমগঞ্জ জেলা, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডিব্রুগড় জেলা, ফর্ম জমা পড়েছে ৮৩.১৭ শতাংশ। অন্যদিকে মাজুলী জেলার স্থান হয়েছে তালিকায় সবার নিচে, কারণ মাজুলী জেলায় এখন পর্যন্ত একটিও দাবি-আপত্তি ফর্ম জমা পড়েনি। ফলে তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে বরাকে একটু একটু করে বাড়ছে দাবি ফর্ম পূরণের পরিমাণ।

একটি সূত্রে জানা গেছে, করিমগঞ্জ জেলার মধ্যে পাথারকান্দি সার্কেলে জমা পড়েছে সর্বোচ্চ এই ৮৯.৬২ শতাংশ ফর্ম, কাছাড় জেলার কাটিগড়া সার্কেলে ৮৯.৭৮ শতাংশ এবং হাইলাকান্দি জেলা হাইলাকান্দি সার্কেলে সর্বোচ্চ ৬৮.৯৯ শতাংশ দাবি ফর্ম। তবে দাবি ফর্ম জমার পরিমাণ বাড়লেও এখনও যারা ফর্ম জমা দেননি তারা যে কোনো মূল্যে অবশ্যই যাতে ফর্ম জমা করেন এনআরসি সেবাকেন্দ্রে গুলোতে- লাগাতার এই আর্জি জানাচ্ছে শিলচরের কিছু সংগঠন কারণ ফর্ম জমা দেওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ই ডিসেম্বর অর্থাৎ হাতে বাকি আর মাত্র ৯ দিন। খসড়া ছুট-দের এমনও আবেদন জানানো হচ্ছে যে, হাতে কোনো নথি না থাকলেও সাদা কাগজে সেলফ ডিক্লেয়ারেশন লিখে তারা যেন দাবি ফর্মের সঙ্গে জুড়ে জমা দেন। অথবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তারা বিদেশী বলে গণ্য হবেন, আর দাবির আবেদন করে রাখলে ভবিষ্যতে তাদের এই দাবির ভিত্তিতে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ থাকবে।

Comments are closed.