সিলেট-শিলচর বাস পরিষেবার প্রক্রিয়া শুরু; লাতুতে হাট, সীমান্ত এলাকায় গরু বাজার নয়
সিলেট থেকে করিমগঞ্জ হয়ে শিলচর পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সিলেট থেকে মৌলভীবাজার হয়ে ভারতের করিমগঞ্জ এবং তারপর শিলচর পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হল। ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার চার জেলার উপায়ুক্ত তথা আধিকারিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। তাছাড়া দু দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়। সোমবার শিলচরে অনুষ্ঠিত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চার জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সমন্বয় বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব করেন মৌলভীবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন, ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক এম এস মনিভন্নন। উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকটি শিলচরের জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে।
করিমগঞ্জের লাতুতে আরেকটি সীমান্ত হাট খোলার প্রস্তাব নেওয়া হয়। সীমান্ত সংলগ্ন স্থানে গরু বাজার না রাখতে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। গরু ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী পাচার আটকাতে ভারতের অংশের সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ১৪৪ ধারার মতো বাংলাদেশের দুই সীমান্ত জেলা সিলেট এবং মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করতে অনুরোধ জানানো হয়।
উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাস ও রেল পরিষেবা চালু করা, সীমান্ত সমস্যা, চোরা কারবার রোধ করা ইত্যাদি বিষয়ও বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে আধিকারিকরা মত প্রকাশ করেন বলে জানালেন করিমগঞ্জ জেলা উপায়ুক্ত এস মনিভন্নন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সিলেটের জেলা উপায়ুক্ত কাজী ইমদাদুলের নেতৃত্বে ১৭ জনের প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।১৭ জনের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিলেট এবং মৌলবীবাজার জেলা উপায়ুক্ত, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত উপায়ুক্ত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কমাডেন্ট, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সঞ্চালক সহ অন্যান্য বিভাগীয় আধিকারিকরা ।
এখানে আরও উল্লেখ্য, এর আগেও দু দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার আধিকারিকদের মধ্যে এ ধরনের উচ্চস্তরীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধানে দু’দেশের আধিকারিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক তেমন ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তবে এবারের বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে যে বৈঠকে আলোচিত তথা গুরুত্ব পাওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়িত করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হবে।বলাবাহুল্য, সিলেট থেকে মৌলভীবাজার হয়ে করিমগঞ্জ ও শিলচর পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালু করা হলে উপকৃত হবেন দু দেশের সাধারন জনগণ।
Comments are closed.