Also read in

শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ পুরোদমে চলছে, ক্রস গার্ডার বসানোর কাজ প্রায় শেষ

শিলচর সহ বরাক উপত্যকার তিনটি জেলায় বৈদ্যুতিক ট্রেনে চড়ার মানুষের স্বপ্ন আরও এক ধাপ এগিয়েছে, রেললাইনে বৈদ্যুতিক খুঁটি সহ ক্রস গার্ডার স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই শিলচর রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশপথে গার্ডার বসানো হয়েছে।

বিস্তারিত বলতে গেলে, রেলওয়ের এক নম্বর গেটকে ঘিরে বৈদ্যুতিক খুঁটির মাথায় ক্রস গার্ডার বসানো হয়েছে। রেললাইনের দুই পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ প্রায় শেষ। তবে শিলচর স্টেশনের ভিতর সহ স্টেশন সংলগ্ন জায়গাগুলিতে এখনও কাজটি তৃণমূল পর্যায়ে রয়েছে বলা যেতে পারে। এখানে কাজের প্রত্যাশিত গতি দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য এর পেছনে কারণও আছে।

মাটিতে প্রায় দুই ফুট খনন করে আর্থিংসহ হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার বানসাল ২০শে জানুয়ারী কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। তিনি পার্ক সহ কিছু নতুন ভবনেরও উদ্বোধন করেন।

প্রকৃতপক্ষে, শিলচর-লামডিং রেল রুটের এই কাজের অগ্রগতির দিকে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজর রাখছে। কাজের অগ্রগতি একদিনের ব্যবধানে দিল্লি এবং রেলওয়ের হেড অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাতে হয়। তাই তারা চাইলেও ঠিকাদাররা কাজের অগ্রগতিতে বিলম্ব করতে পারবে না। এভাবেই বরাক উপত্যকার মানুষের স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা অবশেষে বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে।

পাহাড়ি অংশেও কাজ চলছে। পাহাড়ে উঠতে শুরু করেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। তবে অনেক চেষ্টা করেও কাজ বেগবান করা যায়নি। বর্ষা মরসুম আসছে এবং মরসুম শুরুর আগেই পাহাড়ের কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কারণ, বৃষ্টির সময় পাহাড়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। অনেক ধরনের সমস্যাও আছে। তবে শিলচর রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে যে কাজটি বর্তমানে দ্রুত গতিতে চললেও ইলেকট্রিক ট্রেন বা ইঞ্জিন শিলচর স্টেশনে পৌঁছতে অনেক সময় লাগতে পারে। কারণ, পাহাড়ের বেশ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতায়নের কাজ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে চন্দ্রনাথপুর-লঙ্কা বিকল্প পথের কথা ও ভাবছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এর জরিপের কাজও প্রাথমিক পর্যায়ে বলা যায়।

Comments are closed.

error: Content is protected !!