
শিলচরের নতুন বিমানবন্দরের জন্য তোড়জোড় শুরু, খরিল চা বাগান প্রথম পছন্দের তালিকায়
শিলচরে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর গড়ে উঠছে, এই উদ্দেশ্যে এয়ার পোর্ট অথরিটির গুয়াহাটি অফিসের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর সঞ্জীব জিন্দাল বৃহস্পতিবার শিলচর আসেন, শুক্রবার কুম্ভীরগ্রাম বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন তিনি। জিন্দাল সংবাদ সংস্থাকে জানান, এ মাসেই নতুন বিমানবন্দরের জন্য জমি সহ সবকিছু খতিয়ে দেখতে এয়ার পোর্ট অথরিটির মুখ্য কার্যালয় থেকে একটি দল শিলচর আসছে।
অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি অনুযায়ী প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন, মায়ানমার, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের কথা মাথায় রেখেই শিলচরের নতুন বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হবে। এই ধরনের বিমান বন্দর গড়ে তুলতে জমি দেখা চলছে। এই ব্যাপারে পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে বড়খলা এলাকার খরিল চা বাগান। নতুন বিমানবন্দরের জন্য আরো দুই একটা জায়গা দেখা হয়েছে, তবে সব দিক দিয়ে বিচার বিবেচনা করে কাছাড় জেলার খরিল চা বাগানের জমিই বিমানবন্দরের জন্য প্রাথমিকভাবে ভাবা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা এসে চূড়ান্তভাবে স্থান নির্ধারণ করবেন।
জিন্দাল জানান, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে বড় বড় বিমান ওঠা নামার জন্য কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার রানওয়ে সহ প্রায় ৪ কিলোমিটার এয়ার স্ট্রিপ প্রয়োজন ; যা কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে নেই। সম্প্রসারণ করার ও কোন সুবিধা নেই, তাই বড় বিমানবন্দর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে অথরিটি। তবে কুম্ভীরগ্রাম বিমান বন্দরের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে না। নতুন বিমান বন্দর গড়ে উঠলেও মাল পরিবহন এবং বায়ু সেনার বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহার হবে এই কুম্ভীরগ্রম বিমানবন্দর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদে শিলচর নতুন বিমানবন্দর প্রসঙ্গে জানানো হয়েছিল যে, রাজ্য সরকার জমির ব্যবস্থা না করায় শিলচরে নতুন বিমানবন্দর গড়ে তোলায় দেরি হচ্ছে। এই ব্যাপারে এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা বরাকবাসীর এক নতুন প্রাপ্তির ইঙ্গিত বহন করছে।
Comments are closed.