সুপার ডিভিশনে জয়ের হ্যাটট্রিক ইটখোলার, টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরে বিপাকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড
শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত সুপার ডিভিশন লিগ কাম নকআউট ক্রিকেটে দারুন ছুটছে ইটখোলা এসি। বৃহস্পতিবার সতীন্দ্র মোহন দেব স্টেডিয়ামে জয়ের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করল তারা। এদিন ইটখোলা সাত উইকেটে হারিয়ে দেয় দু’বারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড ক্লাব কে। এই জয়ের ফলে শেষ চার একরকম নিশ্চিত করে নিল তারা। উল্টোদিকে, টানা তৃতীয় ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গেল ইউনাইটেড। যদিও অংকের হিসেবে এখনো তাদের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা খুবই জটিল। এজন্য প্রথমে তাদের শেষ দুটি ম্যাচ জিততেই হবে। তারপর তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি সেটা দু’বারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জন্য মোটেও ভালো নয়। এখান থেকে আরো একটু পা ফসকালে সুপার ডিভিশন থেকে অবনমনও হয়ে যেতে পারে ইউনাইটেডের।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা এদিনও বজায় রাখে ইউনাইটেডের ব্যাটিং ইউনিট। একটা শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ থাকা সত্ত্বেও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না ইউনাইটেডের ব্যাটসম্যানরা। প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করা হচ্ছে। তারপরও মিলছে না সাফল্য।
ইটখোলার বিরুদ্ধেও একই চিত্র দেখা গেল। সকালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইটখোলার অধিনায়ক সমীক দাস। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ইউনাইটেড। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান দুই ওপেনার মোশারব হোসেন লস্কর ও সুকান্ত দে। দুজনে খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। এরমধ্যে মশারব তো ফিরেন প্রথম বলে।
ইটখোলার দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় ইউনাইটেডের টপ অর্ডার। একে একে সাজঘরে ফিরে যান ওয়াসির আহমেদ (৮), প্রসেনজিৎ সরকার (৩), অম্বর (৮) ও অনুভব দাস (০)। একটা সময় ইউনাইটেডের স্কোর ছিল সাত উইকেটে ৫৯। তখন মনে হচ্ছিল ফের একবার একশোর গণ্ডিও টপকাতে পারবে না তারা। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারে রুখে দাঁড়ান সঞ্জীব দত্ত। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। ভালো সঙ্গ দেন ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অভিক লালা (২৪)।
এই দুজনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপে সম্মান বাঁচে ইউনাইটেডের। না হলে কপালে আরো দুঃখ ছিল। দিবাকর জহরি করেন ১ রান। তিনি ব্যাট করতে নামেন দশ নম্বরে। এমন গভীরতা থাকা সত্ত্বেও ইউনাইটেডের ব্যাটিং ইউনিট টানা তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে পারল না। তিন উইকেট শিকার করেন মন্টু দাস। দুটি করে নেন সুদর্শন সিনহা ও সমীক দাস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শুভজিত পাল কে (৩) হারায় ইটখোলা। তবে সেটা তেমন প্রভাব ফেলেনি। ১৪.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে নেয় তারা। অমন কুমার (২৯), সুনজো ব্রহ্ম অপরাজিত ৩৩ ও সমীক অপরাজিত ৩৯ রান করেন। বিবেক যাদব দু উইকেট নেন। অল রাউন্ড প্রদর্শনের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন সমীক। তার হাতে ট্রফি তুলে দেন দেবজ্যোতি সামী ও দেবাশীষ সামী।
Comments are closed.