এটা দুঃখজনক যে বাঙালিরা নিজেদের অবস্থান না বুঝে এখনো ঘুমাচ্ছে: তপোধীর ভট্টাচার্য
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য এবং সিআরপিসিসি’র অন্যান্য সদস্য শিলচরে কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্তের কার্যালয়ে গিয়ে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন। তারা আসামে বসবাসরত ভাষিক সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে এই স্মারক পত্র জেলা উপায়ুক্তের হাতে তুলে দেন।
স্মারক পত্র প্রদানের পর আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা কবি সাহিত্যিক তপোধীর ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত গতকালের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠকের উল্লেখ করে বলেন, ” আমরা এনআরসি’র একবারে অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। গতকাল দিল্লিতে অসম চুক্তির ৬ নং ধারা নিয়ে শর্মা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। আর এই চুক্তি রুপায়নের ফল যে কত ভয়ঙ্কর হবে সে নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ মোটেই সচেতন নন। বরং তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। এই ধারার ফলে বাঙালির অবস্থা যে কতটা বিপন্ন হতে চলেছে সেটা বোঝা খুব জরুরি।গোটা দেশজুড়ে বাঙালিকে টার্গেট করা হচ্ছে।”এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গতকালের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি।
জানা যায়, এনআরসির সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার কাছেও ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য আরো বলেন, “ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পক্ষে আমরা আন্দোলন করছি, তাদের বিপন্নতায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর প্রতিবিধান চাওয়ার জন্য। আসাম চুক্তির ফলে অসমিয়া ও কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক উপজাতিরা যাবতীয় অধিকার পাবেন।এই তালিকায় বাঙালি নেই, নেই বিষ্ণুপ্রিয়াভাষী, নেই মৈথেয়ী মনিপুরিদের মত সংখ্যালঘুরা। এর মানেটা হচ্ছে বিভাজনের নীতিতেই দেশ চলছে।”
তিনি সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান বাঙালিদের ‘উইপোকা’ বিশেষণ দিয়ে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মারার হুমকি দিয়েছেন স্বয়ং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।”
Comments are closed.