এখন পর্যন্ত জে কে বরুয়া ট্রফি আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছে শিলচর। টপ অর্ডার থেকে তেমন রান না এলেও মিডিল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার কিন্তু দারুণ পারফর্ম করছিল। গোলাঘাটে ফাইনাল রাউন্ডে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও গুয়াহাটি ও ধেমাজির বিরুদ্ধে বড় স্কোর খাড়া করেছিল শিলচর। তবে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসে চরম নিরাশ করলেন শিলচরের ব্যাটসম্যানরা। সোমবার জে কে বরুয়া ক্রিকেটের ফাইনালের প্রথম দিন নলবাড়ির বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেন তারা। যার ফলে প্রথম দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে রয়েছে নলবাড়ি। স্টাম্পসে তাদের স্কোর এক উইকেটে ৯৪। তারা শিলচরের প্রথম ইনিংসের স্কোর থেকে ৯৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। হাতে রয়েছে ৯ উইকেট।
এদিন সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শিলচর। এর আগে গুয়াহাটি ও ধেমাজির বিরুদ্ধেও একই স্ট্র্যাটিজি নিয়েছিল তথাগত দেবরায়ের ছেলেরা। ফাইনালে কিন্তু শুরুটা দারুন করেছিল শিলচর। মনে হচ্ছিল ফের একবার প্রথম ইনিংসে বিশাল স্কোর খাড়া করবে তারা। খুব ভালো ছন্দে ছিলেন দুই ওপেনার পারভেজ মোশাররফ ও দিবাকর গোয়ালা। তবে সুইপ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন মোশারফ (৩৫)। ৭৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শিলচর। সে ছিল শুরু। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দিবাকর ৩২ রান করে আউট হন। নিরাশ করলেন বাঁহাতি কৃশানু দত্ত (৭)। বাজে শট খেলে নিজেদের উইকেট ছুড়ে দেন অমন সিং (২১) ও অধিনায়ক শুভজিত পাল (৮)।
একদিক থেকে উইকেট পরতে থাকলেও অন্যপ্রান্তে দারুণ ছন্দে ছিলেন রোশন টপনো। এক ঝক ঝকে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি (৫৬)। তবে রোশন ফিরে যেতেই শিলচরের বড় ইনিংসের আশা ও শেষ হয়ে যায়। অবশেষে ১৯০রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। নলবাড়ির নিহার ডেকা (৫-৫৮) খুব ভালো বোলিং করেন। এছাড়া সন্দীপ রাভা ও রাহুল কুমার ঠাকুর দুটি করে উইকেট নেন।
শিলচরের জন্য ম্যাচ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কাল সকালে যদি প্রথম ঘণ্টায় দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়া যায় তাহলে লড়াইয়ে ফিরে আসবেন শুভজিৎরা। এখন পর্যন্ত পজিটিভ ব্যাটিং করেছে নলবাড়ি। ২২ ওভারেই প্রায় একশো রান করে নিয়েছে। তাই এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কাল আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে শিলচর কে। এটা স্বীকার করে নিলেন তথাগত দেবরায়ও। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলো। তবে ম্যাচ এখনো অনেক বাকি। আজ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। না হলে অনায়াসে ওদের চার পাঁচটি উইকেট তুলে নিতাম। যাই হোক সেটা এখন অতীত। কাল সকালে আমরা উইকেট এর জন্য ঝাপাবো।
Comments are closed.