জয়ের মঞ্চটা গতকালই তৈরি করে নিয়েছিল শিলচর। সেই অনুসারে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন দরকার ছিল ফিনিশিং টাচ এর। প্রত্যাশামতোই সেই কাজটাও খুব সুন্দর ভাবে সেরে নিল তথাগত দেবরায়ের ছেলেরা। সেই সুবাদে জে কে বরুয়া ট্রফি অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তঃজেলা ক্রিকেটের ফাইনালের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল শিলচর। এবার তাদের সামনে একমাত্র বাধা ধেমাজি। আগামী ২৬ মার্চ ধেমাজির বিরুদ্ধে কার্যত সেমিফাইনালে খেলতে নামবে শিলচর। যারা জিতবে তারাই এ গ্রুপ থেকে ফাইনালের টিকিট আদায় করে নেবে।
মঙ্গলবার জে কে বরুয়া ক্রিকেটের ফাইনাল রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে গুয়াহাটির বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিডে জয়ী হয়েছে শিলচর। গোলাঘাটে গুয়াহাটির বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ছিল তারা। স্টাম্পসের সময় গুয়াহাটির স্কোর ছিল দু উইকেটে ২৬। শিলচরের প্রথম ইনিংসের স্কোর থেকে ৩৭৪ রানে পিছিয়ে ছিল গুয়াহাটি। এত বিশাল একটা স্কোরকে টপকে লিড নেওয়া গুয়াহাটির পক্ষে খুবই কঠিন ছিল। হলও তাই। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় গুয়াহাটি।
বেলা দুটোয় গুয়াহাটির প্রথম ইনিংস শেষ হয়। ফলে শিলচর দল বিশাল একটা লিড পায়। ম্যাচের যা পরিস্থিতি ছিল সেই অনুসারে শিলচরের জয় তখন ছিল শুধু নিয়ম-রক্ষার। ফলে দুই আম্পায়ার দুই দলের অধিনায়ক এর সম্মতি নিয়ে সেখানেই ম্যাচ শেষ করে দেন। সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসের লিডে শিলচর কে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এদিন শিলচরের ডানহাতি অফ স্পিনার পরীক্ষিত বণিক অসাধারণ বোলিং করেন। এই প্রথম অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তঃজেলা ক্রিকেট খেলছেন পরীক্ষিত। আর গুয়াহাটির মত কঠিন দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করে সেটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন। তিনি ৬টি উইকেট শিকার করেন। তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল, ২৭-১০-৪৯-৬। শিলচরের আরও এক স্পিনার পারভেজ মোশারফ নেন ৩ উইকেট। রানের দিক দিয়ে শিলচর কে টপকাতে না পারলেও বিশেষ নজর কাড়েন গুয়াহাটির রোহন হাজারিকা। তিনি দুরন্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকান। এ ছাড়া লোয়ার অর্ডারে রাকেশ দাস (২৫) ও পালা করুনাকর (১৯) ভালো লড়াই করেন। মূলত লোয়ার অর্ডার এর এই দুই ব্যাটসম্যানের জন্যই ম্যাচটা এতদূর টেনে নিয়ে যেতে পেরেছে গুয়াহাটি।
ছেলেদের এমন প্রদর্শনী দারুণ খুশি শিলচরের কোচ তথাগত দেব রায়। বরাক বুলেটিন কে তিনি জানান, গুয়াহাটির মত একটা দলের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পাড়ায় খুব ভালো লাগছে। ছেলেরা খুব ভালো পারফর্ম করল। বিশেষ করে পরীক্ষিত বণিকের কথা উল্লেখ করতেই হবে। কি অসাধারণ বল করল ছেলেটা। এককথায় আনপ্লেয়বল।
তথাগত জানান, দলের ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে তিনি খুশি হলেও ফিল্ডিং তাকে মোটেও খুশি করতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি ম্যাচটা আমরা সরাসরি জিততে পারতাম। কিন্তু বাজে ফিল্ডিং এর জন্য সেটা সম্ভব হলো না। তিন-চারটা ক্যাচ মিস করলাম আমরা। না হলে ওদের আরো আগে অলআউট করা যেত। ধেমাজি ম্যাচের আগে এ দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
Comments are closed.