Also read in

জে কে বরুয়া ক্রিকেটে বিশাল স্কোর শিলচরের, চাপে গুয়াহাটি

অনূর্ধ্ব ১৯ জে কে বরুয়া ট্রফি আন্তঃজেলা ক্রিকেটের ফাইনাল রাউন্ডে শুরুটা দারুণ করল শিলচর। সোমবার গোলাঘাটে প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে গুয়াহাটির বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে রয়েছে তারা। স্টাম্পসের সময় গুয়াহাটির স্কোর দু উইকেটে ২৬। শিলচরের প্রথম ইনিংসের স্কোর থেকে এখনও ৩৭৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে গুয়াহাটি। এর আগে শিলচর তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে আট উইকেটে ৪০০ রানের বিশাল স্কোরে।

এদিন সকালে কঠিন কন্ডিশনে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শিলচর দল। সকালে পিচে ভাল ময়েশ্চার ছিল। এরমধ্যে ব্যাটিং নেবার পর ২৪ রানেই সাজঘরে ফিরে যান অমন সিং (১) ও পারভেজ মোশারফ (১১)। তখন প্রচন্ড চাপে পড়ে গিয়েছিল শিলচর। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন কৃশানু দত্ত ও রোশন টপনো। দুজনেই ইনিংস মেরামতের কাজে হাত লাগান। তৃতীয় উইকেটের জন্য কৃশানু ও রোশন ১৯৫ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়েন।‌ এটাই শিলচর দলকে মজবুত অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেয়।

এদিন কৃশানু ও রোশন দুরন্ত ব্যাটিং করেন।দুর্ভাগ্যবশত দুজনেই অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন। কৃশানু আউট হন ৯৩ রানে। আর রোশন (৯৯) সেঞ্চুরি মিস করেন কেবল এক রানের জন্য। গোটা ইনিংসে দারুণ ছন্দে ছিলেন রোশন। কৃশানু দু-তিনবার জীবন দান পেলেও রোশনের ইনিংসটা ছিল ফ্লো-লেস। তাই বলে কিন্তু কৃশানুর ইনিংসটাকে কোন অবস্থাতেই খাটো করা যাবে না।

কৃশানু ও রোশন ফিরে গেলেও শিলচর কিন্তু ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় নি। লোয়ার মিডল অর্ডারে অধিনায়ক শুভজিত পাল (৪৮) ও গৌরব টপনো (৭৮) রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন। যা শিলচর কে ৪০০র গণ্ডি তে পৌঁছে দেয়। ৪ উইকেট নেন ধ্রুব রাজ বড়া।

দিনের শেষে দু উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে গুয়াহাটি। কাল ম্যাচের দ্বিতীয় তথা শেষ দিন। ফলে এখান থেকে গুয়াহাটির লড়াইয়ে ফেরা অনেকটাই কঠিন বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে, শিলচর দলের কোচ তথাগত দেবরায় বরাক বুলেটিন কে জানান, টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তটা খুবই কঠিন ছিল। তবে দিনের শেষে ছেলেদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নেওয়া সার্থক হয়েছে। কাল সকালে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে গুয়াহাটি কে আরো চেপে ধরাই লক্ষ্য থাকবে শিলচরের।

Comments are closed.